ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রিতে জবুথবু শ্রীমঙ্গল

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রিতে জবুথবু শ্রীমঙ্গল

মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গল কাঁপছে কনকনে শীতে। সকালে সূর্য উঠলেও তা উত্তাপহীন। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার মধ্যে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।


 
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী আবুল আলিম বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা ৬ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গত দু’দিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চলছে শ্রীমঙ্গলে। চলতি শীত মৌসুমের অধিকাংশ দিনে তেতুলিয়াতে দেশের সর্বনিম্ন রেকর্ড করা হয়েছে। তেতুলিয়াকে পেছনে ফেলে এবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে।  
 
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  
 
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আবহাওয়াবিদ আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি এখন চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। বিগত কিছুদিন এখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলেছিল। শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়াতে পারে। তবে এটিই শীত মৌসুমের শেষ তীব্রতা।   
 
শ্রীমঙ্গল উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আছাদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে শ্রীমঙ্গলের পুরো উপজেলাজুড়ে শীতার্ত গরিব ও দুস্থ মানুষের মাঝে সাড়ে চার হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ভাণ্ডার থেকে এসেছিল। এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় এক হাজার কম্বল এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় থেকে ২৭৭টি কম্বল ও শিশুদের জন্য ৩শ শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে।
 
এদিকে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো উপজেলার বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
 
 বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
বিবিবি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।