ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

লাভের জন্য পরিবেশদূষণ করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
লাভের জন্য পরিবেশদূষণ করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ) ইচ্ছে করেই তাদের প্লেনগুলোর ট্যাংকে বেশি পরিমাণ জ্বালানি বহন করছে। ফলে, প্রতি বছর অতিরিক্ত ১৮ হাজার টন কার্বনসহ অন্য গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (১১ নভেম্বর) এয়ারওয়েজটির এক কর্মচারীর বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এয়ারলাইনগুলোতে ‘ফুয়েল ট্যাংকারিং’ একটি নিয়মিত ঘটনা।

এতে প্লেনের ট্যাংকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি জ্বালানি ভরা হয় যেন পথে অন্য বিমানবন্দরে আবারও জ্বালানির জন্য না যেতে হয়। অতিরিক্ত খরচ থেকে বাঁচতেই এ কাজ করা হয়।

এ পদ্ধতির জন্য প্রতি বছর ১৮ হাজার টন বেশি কার্বন নিঃসরণ করছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, যা বড় একটি শহর থেকে নিঃসরিত কার্বনের সমান।  

বিএ জানায়, কাজের সুবিধা, নিরাপত্তা ও দামের কথা বিবেচনা করে প্লেনে অতিরিক্ত জ্বালানি বহন খুব সাধারণ একটি ব্যাপার।  

গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রতি পাঁচটি ইউরোপিয়ান ফ্লাইটের একটিতে ফুয়েল ট্যাংকারিং করা হয়। এ কারণে প্রতিবছর যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরিত হয়, তা এক লাখ জনবসতির একটি শহর থেকে নিঃসরিত গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণের সমান।  

এয়ারলাইনগুলো বরাবরই দাবি করে আসছে, তারা কার্বন নিঃসরণ কমাতে কাজ করছে। কিন্তু, ফুয়েল ট্যাংকারিং তাদের এই দাবির পক্ষে যায় না মোটেও।  

পরিবেশ বিষয়ক সংস্থা গ্রিনপিস ইউকে’র নির্বাহী পরিচালক জন সাউভেন বলেন, নিজেদের বাসস্থান পৃথিবীর চেয়ে আর্থিক লাভকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার একটি উদাহরণ এটি। তাই করপোরেটদের স্বেচ্ছায় কার্বন নিঃসরণ কমানোর মিথ্যে আশ্বাসে বিশ্বাস রাখা উচিত নয়। বিমানসংস্থাগুলোর কার্বন নিঃসরণ কমাতে আমাদের কঠোর বিধিনিষেধ দরকার। কারণ, পরিবেশদূষণের মাধ্যমে আর্থিক লাভ হলে তারা এ কাজ করতেই থাকবে।  

ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপের (আইএজি) দাবি, তারা পরিবেশ রক্ষার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম এয়ারলাইন। এমনকি প্লেনের ওজন কমাতে তারা ফ্লাইটের ম্যাগাজিনগুলোও হালকা কাগজে তৈরি করে।  

বিবিসি জানায়, ফুয়েল ট্যাংকারিংয়ের মাধ্যমে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের প্লেনগুলোতে অতিরিক্ত ছয় টন জ্বলানি ভরা হয়। ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় জ্বালানির দামে পার্থক্য থাকায় এভাবে তাদের অনেক টাকা সাশ্রয় হয়।

এয়ারওয়েজের ওই কর্মচারী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজে কাজ করছি, এ নিয়ে আমি গর্বিত। কিন্তু, সত্যি বলতে, ফুয়েল ট্যাংকারিংয়ের ঘটনায় আমি দুঃখিত ও অসন্তুষ্ট।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৯
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।