ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিলুপ্তির পথে গলা বাড়িয়েছে জিরাফ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
বিলুপ্তির পথে গলা বাড়িয়েছে জিরাফ

১৯৮০ সালের পর থেকে বিশ্বে জিরাফের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গেছে। বলা হচ্ছে- ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথেই গলা বাড়িয়েছে এই লম্বা-অতিশয় সুন্দর প্রাণিটি। যার প্রধান কারণিই এর প্রধান বিচরণভূমি আফ্রিকার খামারি জমিগুলোতে ব্যাপক হাবে জিরাফ বধ।

১৯৮০ সালের পর থেকে বিশ্বে জিরাফের সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গেছে। বলা হচ্ছে- ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথেই গলা বাড়িয়েছে এই লম্বা-অতিশয় সুন্দর প্রাণিটি।

যার প্রধান কারণই এর প্রধান বিচরণভূমি আফ্রিকার খামারি জমিগুলোতে ব্যাপক হাবে জিরাফ বধ। বৃহস্পতিবার বিপন্ন প্রাণীর একটি লাল-তালিকা প্রকা করা হয়েছে আর তাতে জিরাফের নাম উঠে এসেছে।

বিশ্ব বিচরণ ক্ষেত্রে এখন উচ্চতায় সববেশি এই জিরাফ। সবশেষ শুমারিতে দেখা গেছে এখন আর মোটে ৯৮ হাজার জিরাফ বেঁচে রয়েছে। যা ১৯৮৫ সালেও ছিলো ১ লাখ ৬৩ হাজার। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) এই জরিপ করেছে।

লাল তালিকার জিরাফকে বিপন্ন প্রাণি হিসেবে দেখিয়েছে যা এখন বিলুপ্তির প্রবনতার দিকে। আর এই প্রথম জিরাফের নাম উঠে এলো এই তালিকায়। সাব-সাহারান আফ্রিকান জঙ্গল আজ বিস্তীর্ণ তৃণাঞ্চলে এখন এদের সংখ্যা কমে এসেছে।

বরং জিরাফ এখন বিভিন্ন সাফারি, চিড়িয়াখানা আর সর্বোপরি মিডিয়ায় দেখা যায়। সাধারণ মানুষ আর সংরক্ষণবাদীরা এ ব্যাপারে একটু অসচেতনই থেকে যাচ্ছে।

তৃণ ভূমিগুলো যত বেশি খামারিদের দখলে চলে যাচ্ছে, ততই জিরাফের জন্য নির্বিঘ্ন বিচরণভূমির আকাল পড়ছে। আর দক্ষিণ সুদানের মতো ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ স্থানগুলোতে জিরাফের মাংস খাওয়া নৈমিত্যিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে।

এই প্রাণি টিকিয়ে রাখার জন্য মানুষের চেষ্টা ক্রমেই আরও কমে যাচ্ছে। তার ওপর খরা, জলবায়ূ পরিবর্তনের প্রভাব এসবেও আর তিষ্ঠাতে পারছে না, অপেক্ষাকৃত নিরীহ এই প্রাণিটি।  

বাংলাদেশ সময় ১৭০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এমএমকে

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।