ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দুর্লভ ‘হেক্সাপাস’ পর্যটকের পেটে!

নূসরাত খান, এনভায়রনমেন্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৩
দুর্লভ ‘হেক্সাপাস’ পর্যটকের পেটে!

ঢাকা: অক্টোপাস ভেবে দ‍ুর্লভ সামুদ্রিক প্রাণী ‘হেক্সাপাস’ শিকার করে খেয়েও ফেললেন এক পর্যটক পরিবার!

গরমে ছুটি কাটাতে গ্রিসে ঘুরতে আসা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ৪৯ বছর বয়সী যন্ত্র প্রকৌশলী লেব্রোস হাইড্রাস প্রতি বছরই এরকম ঘুরতে আসেন। এসময় তিনি সামুদ্রিক প্রাণী খাদ্য হিসেবে খান।

কিন্তু দুর্লভ হেক্সাপাস খাওয়াটা তার খাদ্য বিলাসিতা নয়, না বুঝতে পারার ভুল!

তিনি জানান, পুরো পৃথিবীতে দ্বিতীয়বারের মতো দেখতে পাওয়া হেক্সাপাস তিনিই পানি থেকে আবিষ্কার করেন। কিন্তু শিকার করার পর ভোজনের সময়ও এটি উপলব্ধি করতে পারেননি।

এজন্য আফসোস করে সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি জানান তিনি। এই সামুদ্রিক প্রাণীটি দেখতে পান গ্রিসের পেলিয়ন পেনিনসুলার পাপা নিরো বেলাভূমিতে। স্রোতে ভেসে আসা অক্টোপাস ভেবে সেটিকে আঘাত করে হত্যা করেন। পরবর্তীতে আগুনে পুড়িয়ে ঝলসানো অক্টোপাসের উপাদেয় রসনা হিসেবে খেয়ে ফেলেন সেটি।

যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের এক সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়, প্রথমে তিনি অন্যরকম প্রজাতির অক্টোপাস ভেবে এটি বিভিন্ন স্থানীয় রেস্টুরেন্টে নিয়ে যান তাকে রান্না করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সবগুলো রেস্টুরেন্ট যখন সেটি করে দিতে অপারগ হয়, তখন তিনি নিজেই সেটি ঝলসে রান্না করেন এবং টমেটো ও লেবু মিশিয়ে উপাদেয় খাবার হিসেবে খেয়ে ফেলেন।

পরে তিনি বিভিন্নভাবে গবেষণা করে জানতে পারেন, আসলে সেটি ছিল দুর্লভ প্রাণী হেক্সাপাস। হাইড্রাস বলেন, এটি সাধারণ অক্টোপাসের মতোই ছিল খেতে। প্রথমে ভেবেছিলাম অক্টোপাসটি ছয় পা নিয়েই জন্ম নিয়েছে। পরে নিজে থেকেই আগ্রহী হয়ে জীবিত অবস্থায় প্রাণীটির তুলে রাখা ছবির মাধ্যমে এর অস্তিত্বের বিষয়ে ইন্টারনেটে খোঁজ নিতে শুরু করি।

এর আগে সর্বপ্রথম হেক্সাপাসের দেখা পাওয়া যায় ২০০৮ সালে ওয়েলসে। সম্প্রতি নিউ ক্যাসেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সামুদ্রিক প্রাণী বিশেষজ্ঞ ম্যাট বেন্টলি হেক্সাপাস নিয়ে তার গবেষণা প্রকাশ করেছেন। টেলিগ্রাফ পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটিকে আলাদা প্রজাতির কোনো প্রাণী বলার সম্ভাবনা গ্রিসে পাওয়া হেক্সাপাসটি শারীরিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হওয়া একটি অক্টোপাস। অন্য একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। বলেন যে, জীবনের কোনো এক সময়ে অঙ্গহানি হয়ে পরবর্তীতে প্রাণে বেঁচে থাকা বিশেষ অক্টোপাস হতে পারে ছয় পা বিশিষ্ট এই অক্টোপাস অথবা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ‘হেক্সাপাস’।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।