ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বিরল প্রাণী দিকলেঞ্জী

ফেরদৌস আহমেদ, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১২
বিরল প্রাণী দিকলেঞ্জী

মৌলভীবাজার: চোখ ও মুখমণ্ডল দেখতে অনেকটা বিড়ালের মতো। অবুঝ শিশুর মতোই তার চাহনি।

শান্ত ও নিরীহ প্রকৃতির। লম্বা লেজ, শরীরের ধূসর রং, নাক ও ঠোঁট কিছুটা লাল রঙের, কানটি খাড়া এবং এদের রয়েছে ধারালো নখ।

এই প্রাণীকে স্থানীয়রা ‘দিকলেঞ্জী’ বলে ডাকে। এটি বিরল প্রজাতির একটি প্রাণী। শহুরে পরিবেশে কালেভদ্রে প্রাণীটির দেখা মেলে। আর গ্রামে-গঞ্জেও এখন সাধারণত দেখা যায়না।

গত সোমবার রাত ৯টার দিকে দুইটি দিকলেঞ্জী ছানা ধরা পড়েছে শহরের শান্তিবাগ এলাকার আব্দুল মছব্বির তরফদারের নাহার মঞ্জিলের বাসার কার্নিশের ওপর থেকে। আলী আমজদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী পারভেজ মিয়া (২৫) ছানা দুটোকে ধরেছেন।

পারভেজ মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রাতে পাহারা দেওয়ার সময় মাসহ ছানা দুটোকে আশেপাশের বাসা বাড়ির ছাদে, জানালার কার্নিশে, রাস্তার মধ্যে লাফালাফি করতে দেখা যায়। এসময়ে ছানা দুটোকে নিয়ে মা দিকলেঞ্জী খেলা করছিলো।

তিনি জানান, কৌতুহল বশে রাত ৯টার দিকে তিনি বাসার ভাড়াটে বসুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরবিন্দ পালের ঘরের জানালার কার্নিশ থেকে কৌশলে ছানা দুটোকে ধরতে সক্ষম হন।

তারপর জালের খাঁচায় আটকে রাখেন। খবর শুনে পাড়া প্রতিবেশীরা ছানা দুটোকে দেখতে ভিড় জমায় তার বাড়িতে।

ছানাগুলোকে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তরের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে খবর পাঠিয়েছেন বলে জানান পারভেজ।

পঞ্চাশোর্ধ্ব অরবিন্দ পাল বাংলানিউজকে জানান, প্রাণীগুলোকে স্থানীয়রা দিকলেঞ্জী বলে ডাকে। এরা হাঁস, মুরগি, পাখির ছানা, ফলমুল খেয়ে থাকে। এরা সাধারণত রাতেই চলাফেরা করে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১২
প্রতিবেদন: ফেরদৌস আহমেদ
সম্পাদনা: তানিয়া আফরিন, নিউজরুম এডিটর; আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।