ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

দেড় যুগ পেরিয়ে সুখের সংসারে মোশাররফ-জুঁই

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০২৩
দেড় যুগ পেরিয়ে সুখের সংসারে মোশাররফ-জুঁই রোবেনা রেজা জুঁই ও মোশাররফ করিম

দেখতে দেখতে সংসার জীবনের ১৮টি বছর পার করে দিলেন মোশাররফ করিম ও রোবেনা রেজা জুঁই। চার বছর প্রেমের পর ২০০৪ সালের ৭ অক্টোবর ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা।

সেই হিসেবে সংসার জীবনের ১৯ বছর স্পর্শ করলো এই দম্পতি। কোচিংয়ের শিক্ষক থেকে মোশারর করিম এখন খ্যাতনামা অভিনেতা। আর জুঁই অভিনয় করছেন নিজস্ব ভঙ্গিমায়।  

মোশাররফ-জুঁই দম্পতির বিয়ের গল্পটা বেশ মজার। নির্দ্বিধায় এই গল্প বলেন রোবেনা জুঁই। মোশাররফ করিম বন্ধুর সঙ্গে একটা কোচিং সেন্টার পরিচালনা করতেন, পড়াতেনও। তখন জুঁই দশম শ্রেণিতে পড়েন। প্রি-টেস্ট পরীক্ষার আগে অথবা পরে সেই কোচিং সেন্টারে ভর্তি হন জুঁই। মোশাররফ করিমের কাছে বাংলা সাহিত্য এবং ইংরেজি গ্রামার পড়তেন তিনি। এরপর এইচএসসি এলো। তখনও ওই কোচিং সেন্টারেই ভর্তি হলেন। এইচএসসি শেষ করে জুঁইও সেখানে পড়াতে শুরু করলেন।

প্রথমে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক ছিল। শিক্ষক হিসেবে যোগ দেওয়ার এক বছর পর থেকে মূলত ভালো লাগার আদান-প্রদান শুরু হয়। তবে বিয়েটা সহজ ছিল না। বিষয়টি নিয়ে জুঁই গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমাদের সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়াতে কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। ওর (মোশাররফ করিম) পরিবার থেকে তেমন সমস্যা ছিল না। কারণ মোশাররফ এমনিতেই উদাসীন মানুষ। সে সংসার করবে এটা তার পরিবার ভাবতেই পারেনি! 

তিনি বলেন, যখন সেই ছেলে মেয়ে পছন্দ করেছে তখন পরিবার থেকে আর বাধা আসেনি। ওদিকে আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছি। আমার পরিবারের সুপ্ত ইচ্ছা ছিল- পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে পাঠাবে। কিন্তু তৃতীয় বর্ষে পড়াকালীন বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার এই সিদ্ধান্ত পরিবারকে খুব হতাশ করেছিল। এছাড়া কালচারাল কিছু গ্যাপ ছিল। আমার বাড়ি জামালপুর। মোশাররফ করিমের বাড়ি বরিশাল। সবকিছু মিলিয়ে প্রতিবন্ধকতা ছিল।  

শেষ পর্যন্ত ১৯ বছর আগের অক্টোবরের আজকের দিনে দুজনে একই ছাদের নিচে এসেছিলেন। বিবাহবার্ষিকীতে মোশাররফ করিম বলেন, ১৯টি বছর সুখে-দুঃখে একসঙ্গে পার করেছি আমরা। তবে কতটা সুখে, কতটা দুঃখে অতিবাহিত করেছি, সেই হিসাব-নিকাশ কখনো করিনি। আলহামদুলিল্লাহ, সব মিলিয়ে আমরা ভালো আছি, সুখে আছি।

জুঁই বলেন, সবার কাছে আমাদের জন্য, আমাদের একমাত্র সন্তানের (রোবেন রায়ান করিম) জন্য দোয়া চাই, যেন ভবিষ্যতেও ভালো থাকতে পারি, সুস্থ থাকতে পারি। আর দর্শকদের ভালো গল্পের ভালো নাটক উপহার দিতে পারি।

দুই বাংলাতেই অভিনয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন মোশাররফ করিম। দেশে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তার অভিনীত ‘বিলডাকিনি’ সিনেমা। ফজলুল কবীর তুহিন পরিচালিত এই সিনেমায় মোশাররফের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন পার্ণো মিত্র।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাবে মোশাররফ অভিনীত ‘হুব্বা’। এটি নির্মাণ করেছেন ব্রাত্য বসু। এতে পশ্চিমবঙ্গের হুগলির শীর্ষ সন্ত্রাসী হুব্বা শ্যামলের চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে।

অন্যদিকে, নাটকে নিয়মিত কাজ করছেন জুঁই। সম্প্রতি তার অভিনীত ‘কপালের লিখন’ ও ‘বড় বোন’ নাটক দুটি প্রশংসিত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।