ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

‘দলের বিপক্ষে গিয়ে কখনও কথা বলিনি’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
‘দলের বিপক্ষে গিয়ে কখনও কথা বলিনি’ ‘দলের বিপক্ষে গিয়ে কখনও কথা বলিনি’

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যাকে নৌকা দিবে আমরা তার পক্ষেই কাজ করবো, এ কথাই আমি বার বার বলেছি। আমি এটাও বলেছি আমাকে নৌকা না দিলে আমি কখনও নৌকার বিপক্ষে থাকবোনা।

কারও নির্দেশিত না হয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মানুন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আ. লীগ কার্যালয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাকে সমর্থন জানিয়ে তার হাতে নৌকা তুলে দেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।

আইভী বলেন, প্রচুর মেগা প্রজেক্ট চলছে। আমার বিরুদ্ধে এত বিরোধীতা কেন। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা হলো। মডেল মসজিদ ওয়াকফার যায়গা মামলা করে বন্ধ করে দিল, সেটাও আমি উদ্বোধন করেছি বলে। নানা যায়গায় আমার বিরুদ্ধে এত মোটা মোটা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি জীবনে কোনদিন কোনো নেতার বিরুদ্ধে কোথাও অভিযোগ করিনি, এমনকি নেত্রীর কাছেও না। একটা শব্দও উচ্চারণ করিনি, এটা আমার নীতিতে নেই।

তিনি বলেন, ২৭ টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাকে প্রতিদিন ব্যস্ত থাকতে হয়। যখন আমি বাংলাদেশে আসলাম তখন আমি আপনাদের সঙ্গে নিয়ে শুরু করেছিলাম। এ সময় অনেকে দেশে নানা কারণে ছিলেন না, তবে আমি শুরু করেছিলাম আমাদের মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার কাকা পাশে ছিলেন। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম ৪ দলীয় ঐক্যজোটের আমলে।

সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, পরবর্তীতে ২০০৯ সাল থেকে বিভিন্ন দলীয় কর্মকান্ডে আমি ছিলাম। আমাকে তখন কেউ পায়নি এমন আমার মনে নেই। যখন ডাকতেন তখনি আসতাম, অন্যদেরকেও ডাকতাম। সকল অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কর্মসূচীতে ছিলাম, আগামীতেও থাকবো। পার্টি অফিসে বসে হয়তো সময় দিতে পারিনি, কারণ আমাকে বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। ৭ টা ৮টা পর্যন্ত কাজ করতে হয়।

২০০৯ এর পরবর্তীতে ১/১১ এ এমনকি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর এ পার্টি অফিসেই প্রথম আনোয়ার কাকা, আমি চলে এসেছি এবং মিছিল করেছি। পরে আমার পৌরসভার সামনে মিছিল হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দলের বিপক্ষে গিয়ে অথবা দলের কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কখনও কোথাও কথা বলিনি। আমি ১৯৮৪ সালে নারায়ণগঞ্জ ইউনিয়নের সদস্য ছিলাম। আমার বাবা মারা যাওয়ার পর আমি আনোয়ার কাকাকে নেতা মেনেছি। আমার দুর্ভাগ্য আমি অনেকের মন জয় করতে পারিনি।  কারণ আমি অনেক সরাসরি কথা বলি, কোনো রাগ রাখিনা। আমি মেয়রের চেয়ার বসে ১০ জনের সমান বিচার করি, অন্যায় হলে সরাসরি বলে দেই।

আইভি বলেন, আমি দলের পরীক্ষিত কর্মী। কারণ দুঃসময়ে বুঝা যায় কে দলে থাকে কে থাকেনা। সুসময়ে মানুষের অভাব নেই। এখন তো অন্য দল বলতে কিছু নেই। এমন কোনো যায়গা নেই যে আওয়ামী লীগের লোকজন নেই।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২১
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।