শেরপুর (বগুড়া) থেকে ফিরে: ভোট নিয়ে তাদের যথেষ্ট চিন্তা-ভাবনা আছে। কাকে ভোট দেবেন সেই সিদ্ধান্তও তারা নিয়ে রেখেছেন।
তাদের কথা, উপকার না করুক, অন্তত ক্ষতি করবেন না এমন প্রার্থীকে ভোট দেবেন। তাই ভোট নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো কথা বলতে নারাজ। সময় এলেই তারা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবেন। লোক বুঝে মার্কায় সিল হবে গোপনে!
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) বগুড়ার শেরপুর পৌরসভার দরিদ্র নিম্নশ্রেণীর ভোটারদের ভাবনা এমনই।

চা দোকানি রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, তিনি ভাসমান একজন চা বিক্রেতা। শহর এলাকায় একটি স্থানে দোকান বসিয়ে চা বিক্রি করেন। এই দোকানের ওপর তার পুরো সংসার চলে। একদিন দোকান বন্ধ থাকলে পেটে ভাত পড়ে না। তাই ভোট নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই। ভোটের দিন দেখা যাবে।
চা দোকানি সোলায়মান ও ইব্রাহিম বাংলানিউজকে জানান, তাদের মতো গরিবদের নিয়ে কেউ ভাবে না। তবে ভোটের সময় ধনীদের চেয়ে তাদের কদর অনেক বেশি মনে হয়। কেননা প্রার্থী ও তার লোকজন তাদের কাছে একাধিকবার ভোট চাইতে আসেন। ব্যবহারও খুব ভালো করেন। যাকে দিয়ে এলাকার উন্নয়ন হবে তাকে তারা ভোট দেবেন।
ব্যবসায়ী সাজু বাংলানিউজকে জানান, এখন সময় ভালো না। তাই ভোটের ব্যাপারে মুখ খোলা যাবে না। যিনি পৌরসভার উন্নয়ন করবেন, নাগরিক সেবা দিতে পারবেন, উন্নতমানের পরিবেশ গড়বেন তাকেই তিনি ভোট দেবেন। এক্ষেত্রে কে বিএনপি আর কে আওয়ামী লীগ তা দেখার বিষয় নয়।
মুদি দোকানি আফজাল বাংলানিউজকে জানান, গরিবের মার্কা হলো ‘পেট’। ঘুম ভাঙলেই পেটের চিন্তা করতে হয়। তাহলে ভোটের চিন্তা করার সময় কোথায়। তবে ভোট তো দিতেই হবে। ভোটের দিন মার্কা দেখে সিল মারলেই চলবে। যিনি জয়ী হবেন, বুঝে নেবেন তাকেই এই মুদি দোকানি ভোট দিয়েছেন!
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৫
এমবিএইচ/এএ