ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

না.গঞ্জে এসএসসির গণ্ডি পেরোতে পারেননি ৬৫% প্রার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
না.গঞ্জে এসএসসির গণ্ডি পেরোতে পারেননি ৬৫% প্রার্থী

ঢাকা: আসন্ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের ৬৫ শতাংশ প্রার্থী এসএসসির গণ্ডি পেরোতে পারেননি। এছাড়া প্রার্থীদের মধ্যে ৭৬ শতাংশ ব্যবসায়ী।

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) নাসিক নির্বাচনের প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের পর বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছে।

সুজনের কোষাধ্যক্ষ সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার।

তিনি বলেন, শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে দেখা যায় সাতজন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিনজনের (৪২.৮৬ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর ও তিনজনের (৪২.৮৬ শতাংশ) স্নাতক। বাকী তিনজনের মধ্যে একজন (১৪.২৯ শতাংশ) এসএসসি সমমান।

ওয়ার্ডের তথ্য পাওয়া ১৪৬ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৭৪ জনের (৫০.৬৮ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ১৮ জনের (১২.৩৩ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও ১৮ জনের (১২.৩৩ শতাংশ) এইচএসসি। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ (১৭.১২ শতাংশ) ও তিনজন (২.০৫ শতাংশ)।

নারী কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে এসএসসির গণ্ডি অতিক্রম না করা প্রার্থীর সংখ্যা ২০ জন (৬০.৬১ শতাংশ)। সাতজনের (২১.২১ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও তিনজনের (৯.০৯ শতাংশ) এইচএসসি। স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে দুজন (৬.০৬শতাংশ) ও একজন (৩.০৩ শতাংশ)।  

দিলীপ কুমার সরকার বলেন, বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, সর্বমোট ১৮৬ জন প্রার্থীর মধ্যে সিংহভাগের শিক্ষাগত যোগ্যতাই (১২০ জন বা ৬৪.৫২ শতাংশ) এসএসসি বা তার নিচে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এ হার ছিল ৭১.৬৪ শতাংশ। পক্ষান্তরে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৩৭ জন (১৯.৮৯ শতাংশ)। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এ হার ছিল ১৪.৯২ শতাংশ।

পেশার বিশ্লেষণে দেখা যায়, তিনটি পদে সর্বমোট ১৮৬ জন প্রার্থীর মধ্যে শতকরা ৭৫.৮১ শতাংশ (১৪১ জন) ব্যবসায়ী। তিনজন মেয়র প্রার্থীকে ব্যবসায়ী হিসেবে ধরলে এ হার দাঁড়ায় ৭৬.৩৪ শতাংশ (১৪২ জন)।

মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায়, তিনটি পদে ১৮৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ৪৬ জনের (২৪.৭৩ শতাংশ) নামে বর্তমানে, ৩৬ জনের (১৯.৩৫ শতাংশ) নামে অতীতে ও ২০ জনের (১০.৭৫ শতাংশ) নামে উভয় সময়ে মামলা আছে বা ছিল।

সংবাদ সম্মলনে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছে দেখেছি। কিন্তু প্রার্থীদের তথ্য নিয়ে আলোচনা আমার চোখে পড়েনি। কিন্তু এ তথ্যগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভোটাররা এসব তথ্য জানার মাধ্যমে বুঝে-শুনে ভোট দিতে পারেন।

তিনি বলেন, কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে হুলফনামা যাচাই-বাছাই করা। কোনো তথ্য অসম্পূর্ণ বা মিথ্যা প্রমাণিত হলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলও করতে পারে কমিশন। কমিশনকে তার এ দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না।  

এ সময় কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে সুজনের সহ-সভাপতি হামিদা হোসেন, সহ-সম্পাদক জাকির হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক সিকান্দার খান, প্রকৌশলী মুসবাহ আলীম, ফারুক মাহমুদ চৌধুরী ও ড. শাহনাজ হুদা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।