ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

শরণখোলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণা শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০২০
শরণখোলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণা শুরু শরণখোলায় প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ, প্রচারণা শুরু। ছবি: বাংলানিউজ

বাগেরহাট: বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (০৪ অক্টোবর) দুপুরে শরণখোলা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এসময়  শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজির আহমেদ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অঞ্জন সরকার, শরণখোলা থানার ওসি (তদন্ত) মফিজুর রহমান শেখ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও প্রার্থীদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
 
আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রায়হান উদ্দিন শান্তকে নৌকা, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি খান মতিয়ার রহমানকে ধানের শীষ এবং জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলামকে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের পরে বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রায়হান উদ্দিন শান্ত ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী খান মতিয়ার রহমান গণসংযোগ করেন। এসময় প্রার্থীদের সমর্থকরা বিভিন্ন লোকদের সঙ্গে কুশল বিনিময়, মতবিনিময় সভা এবং মিছিল করেন।

উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরাজী বেনজির আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় সবার প্রতীক আগে থেকেই নির্দিষ্ট। তারপরও নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীদের মধ্যে তাদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আজকে থেকে প্রতিদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রার্থী ও তার সমর্থকরা নির্বাচনী বিধিমালা মেনে গণসংযোগ চালাতে পারবেন। নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর রাত ৮টার মধ্যে সকল প্রার্থীকে তাদের প্রচারণা শেষ করতে হবে।

২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আকন মারা গেলে পদটি শূন্য হয়। দীর্ঘ ১০ মাস পরে ১৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী ২০ অক্টোবর এই উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও একই দিনে জেলার মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের কোদালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পঞ্চকরণ ইউনিয়ন পরিষদের চার নম্বর ওয়ার্ড সদস্য এবং রামপাল উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
কেএআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।