ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
ইভিএমে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট দিচ্ছেন এক ভোটার | ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: একাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ৬টি আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ভোট পড়েছে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ইভিএমের আসনগুলো হলো ঢাকা-৬ ও ১৩, খুলনা-২, সাতক্ষীরা-২, রংপুর-৩ ও চট্টগ্রাম-৯। এসব আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ঘোষিত ফলাফল শিট থেকে জানা গেছে, ৬টি আসনের মোট ভোটার আছে ২১ লাখ ২৪ হাজার ৫৬২ জন।

এদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১০ লাখ ৯২ হাজার ২৬৪ জন। অর্থাৎ প্রদত্ত ভোটের হার হচ্ছে ৫১ দশমিক ৪১ শতাংশ।

ইভিএমের ছয়টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে চট্টগ্রাম-৯ আসনে। এখানে প্রদত্ত ভোটের হার ৬২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে কম পড়েছে ঢাকা-১৩ আসনে। এখানে প্রদত্ত ভোটের হা ৪৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

অন্য আসনগুলোর মধ্যে রংপুর-৩ আসনে ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ, ঢাকা-৬ আসনে ৪৫ দশমিক ৬ শতাংশ, সাতক্ষীরা-২ আসনে ৫২ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং খুলনা-২ আসনে ৪৯ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়েছে।

ইভিএম নিয়ে বিরোধী দলগুলোর অনীহার মধ্যেও বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে উন্নতমানের মেশিন কেনার কথা জানিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। ৬টি আসনে প্রায় ১০ হাজার ইভিএম ব্যবহার করা হয়। প্রতিটি মেশিন কিনতে ইসিকে গুণতে হয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা। মেশিনগুলো বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে প্রস্তুত করে নেয় নির্বাচন কমিশন।

এদিকে ইভিএম ব্যবহারের সন্দেহ দূর করতে এবং আস্থা তৈরিতে নির্বাচন কমিশন ৩ হাজার ৩শ জনের মতো সেনা সদস্যের সহায়তা নেয়।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, প্রচুর অর্থ ও প্রচুর লোকবল ব্যয় করেও ইভিএমে সাড়া তেমন পড়েনি। এ মেশিন ব্যবহারে ইসিকে আরো কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠানো ফলাফল থেকে জানা গেছে, ৬টি আসনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৪ প্রার্থী এবং দলটির নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টির ২ জন প্রার্থী জয় পেয়েছেন।

খুলনা-২ আসনে ১ লাখ ১২ হাজার ১শ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আ'লীগের প্রার্থী সেখ সালাহউদ্দিন। এখানে বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু ২৭ হাজার ৩৭৯ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন।

চট্টগ্রাম-৯ আসনে আ'লীগের প্রার্থী মহিবুল হাসান চৌধুরী ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১৪ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। এখানে ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট পেয়ে বিএনপি প্রার্থী শাহাদাত হোসেন দ্বিতীয়স্থানে আছেন।

সাতক্ষীরা-২ আসনে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬১১ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন আ'লীগের প্রার্থী মীর মোস্তাক আহমেদ রবি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মুহাম্মদ আব্দুল খালেক পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭১১ ভোট।

আর ঢাকা-১৩ আসনে ১ লাখ ৩ হাজার ১৬৩ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাদেক খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী মো. আব্দুস সালাম পেয়েছেন ৪৭ হাজার ২৩২ ভোট।

অন্যদিকে ঢাকা-৬ আসনে ৯৩ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশীদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষের প্রার্থী গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী।

আর রংপুর-৩ আসনে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট।

বাংলাদেশ সময়: ০২২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৮
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।