ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

তিন সিটি নির্বাচন: প্রচার ১০ থেকে ২৮ জুলাই

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৮
তিন সিটি নির্বাচন: প্রচার ১০ থেকে ২৮ জুলাই নির্বাচন ভবন

ঢাকা: আসন্ন রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচার কাজ চালানো যাবে না। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এই নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এরইমধ্যে মনোনয়নপত্র দাখিল ও যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে।

বৈধ প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন আগামী ৯ জুলাই। আর প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জুলাই। প্রতীক পাওয়ার পর প্রচার করা যাবে।

আবার ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার কাজ বন্ধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে আইনে। ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই সকাল ৮টায়।   অর্থাৎ ১০ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচার কাজ চালানো যাবে।

ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে- সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালার বিধি ৫ অনুসারে-প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কোনো রাজনৈতিক দল, অন্য কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা কোনো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করতে পারবে না। এই বিধি সব প্রার্থী ও তার সমর্থকদের মেনে চলতে হবে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী বিধিমালার কোনো বিধান অমান্য করলে, তিনি নির্বাচিত হওয়ার পরও তার প্রার্থিতা বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন।

নির্দিষ্ট সময়ের আগে প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা ছাড়াও যে কোনো প্রকার মিছিল বা শোডাউন করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।

এদিকে প্রচার কাজের জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে কেবল একটিমাত্র শব্দবর্ধণকারী যন্ত্র বা মাইক ব্যবহার করার জন্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। এজন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর পথসভা বা ঘরোয়া সভার জন্য অন্তত ২৪ ঘণ্টা আগে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। কোনো প্রার্থী অন্য প্রার্থীর বিরুদ্ধে সম্মানহানীকর তথা চরিত্রহনন করে বা কোনো ধরনের তিক্ত বা উস্কানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দিতে পারবেন না।

নির্বাচনী প্রচারকাজে কেবলমাত্র দলীয় প্রধান হেলিকপ্টার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে দলীয় প্রধান যদি সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ তথা, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হন, তবে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় যেতে পারবেন না।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশনা প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করে অথবা যথাযথভাবে প্রচার করে অবহিত করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে ফরহাদ আহাম্মদ খান জানিয়েছেন, এরইমধ্যে নির্দেশনা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী, নির্দেশনাগুলো দেওয়া হয়েছে। যা অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, পুলিশ সদর দফতরসহ সংশ্লিষ্টদের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৮

ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।