ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রদীপে জ্বলেছে আলো, ভাগ্যবান হারুন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
প্রদীপে জ্বলেছে আলো, ভাগ্যবান হারুন বদরুল আলম প্রদীপ, হারুন অর রশিদ ও মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত

ময়মনসিংহ: বিগত নির্বাচনে পরাজিত হলেও এবার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বদরুল আলম প্রদীপ।  

একইসঙ্গে নিজ দল বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত হয়েও চেয়ারম্যান হয়েছেন ত্রিশালের আনোয়ার সাদাত।

আর জীবনের প্রথমবার ভোটে এসেই চমক দেখিয়েছেন ফুলবাড়িয়ার হারুন অর রশিদ।  

গতকাল ২৯ মে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ, ত্রিশাল ও ফুলবাড়িয়ার বেসরকারি ফলাফলে বিজয়ী প্রার্থীরা এই চমক সৃষ্টি করেছেন। এতে এই তিনটি উপজেলার রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের সৃষ্টি হয়েছে।    

সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ছিলেন বদরুল আলম প্রদীপ। এরপর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে চমক সৃষ্টি করেন। পরের বার ৫১ হাজার ভোট পেয়েও ৮ হাজার ভোটে পরাজিত হন। ফলে নানা সমীকরণে রাজনীতির মাঠে তার আশার ক্ষীণ আলো জ্বলছিল নিভু নিভু। তবে এবারের নির্বাচনে স্থানীয় প্রভাবশালী রাজনীতিকদের আনুকূল্য হারিয়েও জনতার নীরব ব্যালট বিপ্লবে প্রদীপে জ্বলেছে আশার আলো। এই আলো আগামীর রাজনীতিতে নতুনের বার্তা বয়ে এনেছে বলেও মনে করছেন ভোটার-সমর্থকরা।      

ঘোষিত ফলাফলে জানা যায়, আনারস প্রতীকে বদরুল আলম প্রদীপ পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৩৯২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা পরিষদ সদস্য আবু বকর সিদ্দিক দুলাল ভূইয়া চিংড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৩৮ হাজার ৫৩৯ ভোট। এতে বিজয়ী প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৯ হাজারের বেশি। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রাসেল মিয়া ও শেফালি হামিদ।    

ত্রিশালের নির্বাচনে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত। তার বাবা প্রয়াত আব্দুল খালেক ছিলেন ময়মনসিংহ-৭ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য। এর আগে আব্দুল খালেক নির্বাচিত হন ইউপি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে। বাবার সেই সফলতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এবার দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েও ব্যালট বিপ্লবে কারিশমা দেখিয়ে কাপ-পিরিচ প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন ছেলে। এর আগে একবার ধানের শিষ প্রতীকে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন আনোয়ার সাদাত।  

তবে এবার উপজেলা নির্বাচনে কাপ-পিরিচ প্রতীকে মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৩৬৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মতিন সরকারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম জুয়েল কৈ মাছ প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৯০ ভোট। এতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন ইব্রাহিম খলিল নয়ন ও শিরিন ইসলাম।        

মুহাম্মদ আনোয়ার সাদাত বাংলানিউজকে বলেন, বাবার পথ ধরেইে আমি হাঁটতে চাই জনতার পাশে। আমার এই বিজয় ত্রিশালবাসীর। আমি চেষ্টা করব ত্রিশাল উপজেলাকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে।

ফুলবাড়িয়ার রাজনীতিতে ভাগ্যবান পুরুষ হারুন অর রশিদ। তিনি ছিলেন কলেজ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতির লক্ষ্যে তিনি কখনো ব্যর্থ হননি। এবার উপজেলা নির্বাচনে জীবনে প্রথম ভোটে এসে করেছেন বাজিমাত। ৩৮ হাজার ৬২ ভোট পেয়ে ঘোড়া প্রতীকে বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী কামরুজ্জামান পেয়েছেন ২৬ হাজার ৩০৪ ভোট। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রফিকুল ইসলাম রাকিব ও সঙ্গীতা রাণী সাহা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।