ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ফরিদপুরে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর-হামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
ফরিদপুরে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর-হামলা

ফরিদপুর: ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। নৌকার প্রার্থী শামীম হকের সমর্থক সম্রাটের নেতৃত্বে হামলায় এ কে আজাদের দুইজন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গেরদা হাই স্কুল সংলগ্ন ঈগল প্রতীকের এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্পটি ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটে।  

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গেরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হকের নিদের্শনায় এ হামলায় অংশ নেন তোফাজ্জল হোসেন সম্রাট ও হাসিবুর রহমান জেমিসহ সম্রাটের বাহিনীর সদস্যরা।  

এ ঘটনায় গেরদা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক স্কুল শিক্ষক জুনায়েদ হোসেন বুলু ও  শেখ খবির আহত হয়েছেন। এর মধ্যে শেখ খবিরকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তোফাজ্জেল হোসেন সম্রাট তার বাহিনী নিয়ে প্রকাশ্যে এসে স্থানীয় একটি বাজারের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর করে এবং ক্যাম্প থেকে ডেকে বাইরে রাস্তার ওপরে দুই কর্মীকে হকিস্টিক ও ভাঙা চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। এরপর সবার সামনে দিয়েই মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিতে দিতে চলে যায়।  

গেরদা ইউনিয়নে এ কে আজাদের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মো. রিয়াদ মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের অনুসারী গেরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হকের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। তার সঙ্গে অংশ নেয় তোফাজ্জল হোসেন সম্রাট ও হাসিবুর রহমান  জেমি। এ সময় তারা নির্বাচনী ক্যাম্পের চেয়ার ভাঙচুর করে।  

তিনি বলেন, ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

অভিযোগ সম্পর্কে গেরদা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ এমার হক বলেন, ওই জায়গায় একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা এসে এ কে আজাদের ক্যাম্পে হামলা ও মারধর করেছে তা আমার জানা নেই। এ ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত না। তার পরও আমার নাম বলা হয়ে থাকলে তা শত্রুতা করে বলা হচ্ছে।  

এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামস সাদাত মাহমুদুল্লাহ এবং ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছেন।

ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। আহতদের থানায় এসে অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।

** স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের সমর্থকদের মারধর-লিফলেট ছিনতাই 
** ফরিদপুরে এ কে আজাদের নির্বাচনী ক্যাম্প ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ
** ফরিদপুরে এ কে আজাদের সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৫


বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।