ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনের দায়ে এমপি ফারুক চৌধুরীকে শো-কজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘনের দায়ে এমপি ফারুক চৌধুরীকে শো-কজ

রাজশাহী: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) এ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (দ্বিতীয় আদালত) মো. আবু সাঈদ তাকে শো-কজ নোটিশ দেন।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে ওমর ফারুক চৌধুরী তানোর পৌরসভার গোকুল ও বুরুজ এলাকায় সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের নিয়ে বিশাল সমাবেশ করেন। পৃথক সমাবেশ থেকে তিনি আসন্ন নির্বাচনে সবাইকে নৌকার পক্ষে থাকার আহ্বান জানান। তফসিল ঘোষণার পর প্রতীক বরাদ্দের আগে এই ধরনের সমাবেশ নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

ওমর ফারুক চৌধুরীকে দেওয়া কারণ দর্শানোর নোটিশে বলা হয়েছে- বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি জানতে পেরেছে যে, ওমর ফারুক চৌধুরী প্রতীক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তানোরে দুটি সভা করে নৌকায় ভোট চান। এটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা-২০০৮ এর বিধি ৬ (ঘ) বিধি ১২ লঙ্ঘন। এটি আচরণবিধির মধ্যে নির্বাচন পূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য হয়েছে।

ওমর ফারুক চৌধুরী কেন আইন লঙ্ঘন করে এ ধরনের সভা করেছেন তা আগামী মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ৩টায় স্বশীরের উপস্থিত হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে রাজশাহী-১ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের (দ্বিতীয় আদালত) কার্যালয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই চিঠিতে।

ওমর ফারুক চৌধুরী ২০০৮ সাল থেকে টানা তিনবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য রয়েছেন। একবার শিল্প প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন। এর আগেও নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর আচরণবিধি ভেঙে নিজ আসন তানোর ও গোদাগাড়ীতে উপকারভোগীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি সভা করে তিনি নৌকায় ভোট চান।

এসব সমাবেশ দৃষ্টিতে পড়লে সংশ্লিষ্ট উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দেন।

এর ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনে (ইসি) প্রতিবেদন দেন। ইসি এই সংসদ সদস্যকে সতর্ক করার জন্য একটি চিঠি দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা তাকে সতর্কও করেন। কিন্তু কয়েকদিন পার না হতেই তিনি আবার আচরণবিধি ভেঙে সভা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০২৩
এসএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।