ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে: ভারতের সাবেক সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
সুষ্ঠু নির্বাচনে ইসির সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে: ভারতের সাবেক সিইসি

ঢাকা: একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ওপর কেন বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না তার কোনো কারণ আমি দেখি না।

রোববার (২৯ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এস ওয়াই কোরাইশি।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম (ইএমএফ) নামে পর্যবেক্ষক সংস্থার ব্যানারে তারা বাংলাদেশের ইসিতে আসেন। প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান মুয়াদ তৌফিক, শ্রীলংকার আরএমএএল রথনায়েক, নেপালের নির্বাচন কমিশনার সাগুন শামসের জে বি রানা ও নেপালের সাবেক নির্বাচন কমিশনার ইলা শর্মাসহ ইএমএফ’র প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

ভারতের সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এস ওয়াই কোরাইশি বলেন, একটি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সমস্ত ক্ষমতা রয়েছে। তাদের ওপর কেন বিশ্বাস স্থাপন করা যাবে না তার কোনো কারণ আমি দেখি না। বাংলাদেশের ইসির ক্ষমতা আছে। তারপরও বিগত নির্বাচন গুলোর মধ্যে কয়েকটি নির্বাচন একপক্ষীয় ছিল। যে কারণে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

এ ক্ষেত্রে ইসির কোনো দুর্বলতা রয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমি জানি না। এটা ইসি ব্যাখ্যা দিতে পারবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, ভারতের নির্বাচন কমিশনের যে সমস্ত ক্ষমতা আছে, সেই সমস্ত ক্ষমতা বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনেরও আছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সময়ে ভারতের নির্বাচন কমিশন দৃশ্যত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মতো দায়িত্ব পালন করে। ভারতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর কমিশন সর্বময় ক্ষমতা পায়। কোনো প্রধানমন্ত্রী থাকে না, মুখ্যমন্ত্রী থাকে না। ইসির অনুমতি ছাড়া কেউ কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

কোরাইশি বলেন, ভারতের ইসি ক্ষমতাসীন সরকারকে অকার্যকর করে ফেলে। তারা (ভারতের সরকার) নতুন কোনো উন্নয়ন কর্মসূচি নিতে পারে না। কাউকে বদলি করতে পারে না। এতে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা বাড়ে।

ইএমএফ’র পরিচালক আব্দুল জব্বার খান বলেন, আমরা জানিয়েছি যেন বাংলাদেশ সরকারের আগামী নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর ক্ষেত্রে বৃহৎ যে রাজনৈতিক দলগুলো আছে, এখনও যেহেতু নির্বাচন পদ্ধতি তাদের মূল এজেন্ডা যে, নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে, কার অধীনে হবে। কাজেই সেই হিসেবে তাদেরকে দুইবার সংলাপের চেষ্টা করেও তারা সংলাপে বসতে পারেননি এবং সেই কারণে নির্বাচন কমিশনের মধ্যে একটু হতাশা আছে আমরা যেটি বুঝলাম।

ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম মনে করে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবশ্যই অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। এখানে সরকারকে দায়িত্ব নিতে হবে। দায়িত্ব সরকারেরই প্রথম, কাজেই সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে হবে এবং সেই সংলাপের মাধ্যমে সমস্ত রাজনৈতিক দলকে ইনক্লুড করে কীভাবে একটি সুন্দর অংশগ্রহণমূলক সেই জন্য সেই জন্য কিন্তু ব্যবস্থা নিতে হবে।

ব্যালট পেপার কখন কেন্দ্রে যাবে এটি আমরা জানতে চেয়েছি। তারা (ইসি) তখন বলেছে, একেবারেই রিমোট এরিয়া যদি না হয়, তাহলে নির্বাচনের দিন সকালেই ব্যালটগুলো ভোটকেন্দ্রে পাঠাতে চান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।