ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

সিসি ক্যামেরার তার কে কেটেছে, খুঁজে বের করা হবে: ইসি আহসান হাবিব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
সিসি ক্যামেরার তার কে কেটেছে, খুঁজে বের করা হবে: ইসি আহসান হাবিব

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া পৌরসভা নির্বাচনে পাঁচটি কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার তার কোন পক্ষের নির্দেশনায় কাটা হয়েছে তা খুঁজে বের করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এজন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন আয়োজনকারী সংস্থাটি।

সোমবার (১৭ জুলাই) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন আহসান হাবিব।

আহসান হাবিব বলেন, দূর থেকে কাশবন ঘন লাগে। কাছে গেলে ফাঁকা ফাঁকা লাগে। আপনারাই (সাংবাদিকরা) কিন্তু আমাদের মুভমেন্ট, কর্মকাণ্ড কাছ থেকে দেখেছেন। আপনাদের কী মনে হয় আমাদের আন্তরিকতার ঘাটতি ছিল? আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ভোটার উপস্থিতি কম হতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিলাম বেনাপোল নির্বাচন নিয়ে। সেখানে ১২ বছর ধরে নির্বাচন হচ্ছে না। আরেকটা হচ্ছে ভাণ্ডারিয়া। অনেক মামলার মধ্য দিয়ে অবশেষে আল্লাহর রহমতে হলো। কী পরিমাণ ভোটার যে ওখানে হাজির হয়েছে এবং কী সুন্দর যে ভোট হচ্ছে! আমরা কিন্তু ক্ষণে ক্ষণে সবার সঙ্গে কথা বলছি। জানছি ওখানে ভালো ভোট হচ্ছে।

তিনি বলেন, ওইখানকার (প্রার্থীদের) রিকোয়েস্টের ভিত্তিতেই কিন্তু আমরা ইভিএম ও সিসি ক্যামেরা দিয়েছিলাম। বেনাপোলের সিসি ক্যামেরা ওকে। ওয়ার্কিং ফাইন। কিন্তু ভাণ্ডারিয়ায় কিছু কিছু মিসক্রিয়েন্ট গতকাল রাতে সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কেটে দিয়েছে। কাটা পড়েছে বললাম না। সকাল থেকে ডিসি, এসপি, গোয়েন্দা সংস্থা লাগিয়ে চেক করেছি। ওপরের ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। এতে কিন্তু ভোটের অসুবিধা হচ্ছে না। ইভিএমে যেহেতু কারচুপির সুযোগ নাই। দুই পক্ষে উপস্থিতিই ব্যালেন্স করছে।

আহসান হাবিব খান আরো বলেন, আমরা গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চিন্তা করেছিলাম কাটাকাটি করবে। কিন্তু দেখলাম সেই কাটাটা ভাণ্ডারিয়ায় হলো। এটা আমরা খুঁজে বের করবো কে, কখন, কারা, কীভাবে, কোন পক্ষের হয়ে এ জিনিসগুলো করেছে। আমি নির্দিষ্টভাবে এসপিকে দায়িত্ব দিয়েছি। ডিবির কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দিয়েছি। রাস্তায় অনেক ফুটেজ থাকে সিসি ক্যামেরা থাকে, কোনো কোনো বাসায় থাকে। এটা খুঁজে বের করার জন্য বলেছি।

এছাড়া কোনো প্রকার কিছু হয়নি। চার-পাঁচটা কেন্দ্রের সিসি ক্যামেরার ক্যাবল কাটা হয়েছে। তিনটা ঠিক করা হয়েছে। এটা এজন্য বললাম যে তারটা কেটে সরিয়ে নিয়ে গেছে, যেন সহজে সারানো না যায়। সেই পাঁচটা কেন্দ্রে আমাদের পৃথক পাঁচজন পর্যবেক্ষক দেওয়া হয়েছে।  

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় একটি কেন্দ্রে সাংবাদিককে মোবাইল নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নীতিমালায় বলা আছে সাংবাদিকরা কেন্দ্রে ঢুকে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাকে অবগত করবেন। সাংবাদিকরা যেখানে খুশি সেখানে যেতে পারবেন, শুধুমাত্র গোপন কক্ষ বাদে। কাজেই এটি অন্যায় হয়েছে। এর বিচার হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০২৩
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।