ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শতবর্ষ উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজি বিভাগের শতবর্ষ উদযাপন

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের অ্যালামনাই সোসাইটির আয়োজনে বিভাগের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাতে শতবর্ষ উদযাপনের আসর বসেছিল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের ‘ওয়েসিস’ প্রাঙ্গণে।

বর্ণিল ও বর্ণাঢ্য এ আয়োজনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সামিল হন বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা, যারা চোখে স্বপ্ন, মনে প্রেরণা সঞ্চার করে নিজেকে ও সমাজকে সাজাতে এসেছিলেন এ বিদ্যাপীঠে। আকাঙ্ক্ষা ছিল অসুন্দর ও অকল্যাণের ব্যারিকেড ভেঙে একটি আলোকিত আগামী ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণ করবেন। এসেছিলেন তারা, যারা তারণ্যের স্পর্ধিত অহঙ্কারে শোষণের অবসানে সাম্য ও সম্প্রীতির সমাজ সৃষ্টির শপথ করেছিলেন, তারা আজ কেউ প্রবীণ, কেউ বার্ধক্যে উপনীত আবার মধ্যবয়সী। এদের মধ্যে কেউ জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন, আবার কারো স্বপ্নের রং ফিকে হয়ে গেছে বাস্তবতার নির্মম কষাঘাতে।

এ আয়োজনে জীবনের সাফল্য ও ব্যর্থতাকে পাশে ফেলে এখানে এসে সবাই ফিরে গেছেন ক্যাম্পাসের সেসব দিনগুলোতে যেখানে সবাই ছিলেন স্বপ্নের ফেরিওয়ালা, যেখানে প্রতিটি ক্ষণে জীবন নতুন আঙ্গিকে, নতন উদ্দীপনায় ধরা দিত মনের আঙিনায়।

শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সম্মাননা দেওয়া হয় বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীকে।

অ্যালামনাই সোসাইটির কাছে ‘ঋণখেলাপি’ হয়ে থাকবেন জানিয়ে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সাহিত্য মানুষের বোধের উদ্বোধন করে, এ বোধে উদ্দীপ্ত, আলোড়িত ও অনুপ্রাণিত মানুষই পৃথিবীতে ফরাসী বিপ্লবের ঝাণ্ডা উড়িয়েছে, রুশ বিপ্লবকে অনিবার্য করে তুলেছে। সাহিত্য মানুষের মুক্তির দুয়ার খুলে দেয়, সম্প্রীতির সেতুবন্ধ তৈরি করে। জীবনের সামগ্রিকতাকে আবিষ্কার করতে হলে সাহিত্য পাঠের বিকল্প নেই। সাহিত্যের মধ্যে ইতিহাস যেভাবে জীবন্ত হয়ে ওঠে অন্য কোনোভাবে, এমনকি ইতিহাসের মধ্যেও ইতিহাস এভাবে প্রাণবন্ত ও বিমূর্ত হয়ে উঠে না।

তিনি বলেন, সাহিত্যের সামগ্রিকতার বিপরীতে পুঁজিবাদ ব্যক্তি ও সমাজকে বিচ্ছিন্ন করে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র করে রাখে। বিচ্ছিন্ন ব্যক্তি ও বিভক্ত সমাজ সামষ্টিক চেতনা ধারণ করতে পারে না, আর তখনই পু্ঁজিবাদ সমাজে তার শোষণ ও শাসনের থাবা বিস্তার করে। এর বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ ও সোচ্চার হতে হবে। এজন্য সাহিত্যের পাঠ নিতে হবে। সাহিত্যই মানুষকে দিতে পারে মুক্তির পথ।

এ সময় তিনি তরুণদের প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অ্যালামনাই সোসাইটির সভাপতি রামেন্দু মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান।

অনুষ্ঠানে রামেন্দু মজুমদারকে সভাপতি ও আমিনুল ইসলাম খানকে সাধারণ সম্পাদক করে সোসাইটির ২৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এইচএমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।