ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস’ শিখন পদ্ধতি চালু হচ্ছে বাংলাদেশে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২২
‘এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস’ শিখন পদ্ধতি চালু হচ্ছে বাংলাদেশে

ঢাকা: শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে দক্ষ ও মাল্টি টেলেন্টেড হিসেবে গড়ে তুলতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হবে।

 

উদ্বোধনী দিনে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ইন্টারন্যাশনাল কালারিং কম্পিটিশনে অংশ নেবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাসের বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।

এ প্রোগ্রামে ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুর জন্য ভর্তির উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, অ্যাবাকাস, ব্রেইন জীম, স্পিড রাইটিং- এই তিনটির বিষয়ের সমন্বয়ে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে যেকোনো শিক্ষার্থী বর্তমান থেকে পাঁচগুণ বেশি মেধাবী হতে পরে। না হয় আমাদের ব্র্যান্ড প্রমিজ অনুযায়ী ১৫,০০০ টাকা রিফান্ড বাধ্যমূলক দেওয়া হবে।

শিশুদেরকে এমনভাবে শেখানো হবে মস্তিষ্কের উপর কোনো প্রকার চাপ পড়বে না, বরং উপভোগ্য করবে এ প্রোগ্রাম বলেও দাবি করেন আয়োজকেরা।

তারা জানিয়েছেন, এসআইপি অ্যাবাকাসের বনশ্রী শাখা ২৮ অক্টোবর এবং ২৯ অক্টোবর মিরপুর ও বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের উদ্বোধন অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে হতে যাচ্ছে। তিনটি শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী ইন্টারন্যাশনাল কালারিং কম্পিটিশনে অংশ নেবে।  

এছাড়াও ভারতের এসআইপি অ্যাবাকাসের প্রতিনিধি দল ও শিক্ষার্থীরা এতে অংশ নেবেন।

সংবাদ সম্মেলনে এসআইপি অ্যাবাকাস ইন্ডিয়া এবং ইন্টারন্যাশনাল পার্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দিনেশ ভিক্টর বলেন, এসআইপি অ্যাবাকাস প্লাস মূলত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রমে অধিক মনোযোগী ও দক্ষ করে গড়ে তুলতে কাজ করে। শিশুর মস্তিষ্কের সঠিক বিকাশের জন্য এই প্রোগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমরা সাধারণত আমাদের দু’পাশের ব্রেইন একসঙ্গে ব্যবহার করতে পারি না। এই প্রোগ্রামে এর ব্যবহার শেখানো হয়, যেন একজন মানুষের কর্মদক্ষতা অনেক গুণ বাড়ে।

দিনেশ ভিক্টর বলেন, সাধারণত এই প্রোগ্রামে ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুর জন্য ভর্তির উপযুক্ত সময়। অ্যাবাকাস, ব্রেইন জিম ও স্পিড রাইটিং- এই তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে বিশেষ কৌশল অবলম্বন করে আমাদের ট্রেইন্ড শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, যাতে করে যে কোনো শিক্ষার্থী বর্তমান থেকে পাঁচগুণ বেশি মেধাবী হতে পরে।  

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, এই কোর্সের মাধ্যমে বিশ্বে ছয় লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষার্থী ইতোমধ্যেই প্রশিক্ষিত হয়েছে। মালয়েশিয়ান নাগরিক কেলভিন থাম এসআইপির প্রতিষ্ঠাতা। প্রতি বছর ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশনের মাধ্যমে আমাদের ছাত্রছাত্রীরা ৫ মিনিটে ১২৩টি অংকের সমাধান করে তাদের যোগ্যতার প্রখরতা দেখিয়ে থাকে। উন্নত বিশ্বের অভিভাবকেরা তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে অধিক সচেতন বিধায় প্রতিযোগিতামূলক আগামী বিশ্বে সন্তানের টিকে থাকার জন্য এসআইপির যুগোপযোগী স্কিলসগুলো তাদের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইকুয়েশন ম্যানেজার প্রবীণ ইজি, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার সাজাদ খান, বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডক্টর মো. মাতিন আহমেদ, অশোকা ফেলো অন এডুকেশন (ইউএসএ) ডিরেক্টর বনীর হাকিম, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট অফিসার মো. ওমর ফারুক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৯, অক্টোবর ২৭, ২০২২
এনবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।