ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় যেন ধাক্কা না খায়: মন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
শিক্ষার্থীরা কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সময় যেন ধাক্কা না খায়: মন্ত্রী

ঢাকা: কর্মক্ষেত্রে চাহিদার কথা বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কোর্স-কারিকুলাম প্রণয়নের তাগিদ দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীরা গ্রাজুয়েশন শেষ করে যখন কর্মজীবনে প্রবেশ করবে, তখন যেন ধাক্কা না খায়।

তিনি বলেন, ব্যবস্থাপনার মধ্যম স্তরে বিদেশ থেকে যে জনবল নিয়ে আসতে হয় তার পরিবর্তে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের তৈরি করতে হবে।

আর সেভাবেই তৈরি করতে হবে কারিকুলাম।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যখন কেউ ডিগ্রি অর্জন করে বের হয়―তখন সে পরবর্তী জীবনের জন্য তৈরি হতে পেরেছে বলে মনে করি। কিন্তু অনেক সময় আমরা দেখি কর্মক্ষেত্রে যে চাহিদা, তার সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর দক্ষতা ও যোগ্যতার একটুখানি দূরত্ব থেকে যায়। সে দূরত্বটা বোধ করি যে দক্ষতাগুলোকে সফট স্কিলস বলা হচ্ছে, সেগুলো হয়তো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেভাবে শেখানো হয় না। আমাদের কোর্স-কারিকুলাম হয়তো কর্মক্ষেত্রের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি হয় না।  

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অনেকেই মনে করেন অ্যাকাডেমিশিয়ানদের মধ্যে একটা উন্নাসিকতা আছে। তারা ভাবেন, যে জ্ঞান আমার আছে আমি নিজের মতো করে শিক্ষার্থীদের শেখাবো। সে কর্মক্ষেত্রে যাবে, সেখানে গিয়ে কী করবে সেটা তার বিষয়। কিন্তু আমি যখন শিক্ষার্থীদের কর্মজীবনে প্রবেশের জন্য তৈরি করে দিচ্ছি, তাকে যেন সেভাবে তৈরি করে দিতে পারি।

তিনি বলেন, অনেকে বলেন জব রেডি। জব রেডি কতটা তা জানি না। কিন্তু অন্তত সে তার কর্মজীবনে প্রবেশের সময় যেন ধাক্কা না খায়।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা দেখি আমাদের ভালো ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্তানেরা যখন একটা চাকরির জন্য ইন্টারভিউ দিতে যায়, তখন যিনি চাকরি দেবেন তার প্রত্যাশা অনেক সময় এক জায়গায় মিলিত হয় না, একটু তফাৎ থেকে যায়।

এজন্য বিদেশ থেকে লোকবল নিয়ে আসার পরিবর্তে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির তাগিদ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি বিভিন্ন প্রতিবেশী দেশ থেকে অনেক জনবল আমাদের দেশে ব্যবস্থাপনার মধ্যম স্তরে নিয়ে আসা হয়, চাকরি দেওয়া হয়। কেন আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই জায়গাটা পূরণ করতে পারে না? তারা যেন সেই চাহিদা পূরণ করতে পারে, সেজন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি তাদের তৈরি করে দিতে পারে না? আমরা নিশ্চয়ই পারি। সেই চেষ্টা আমাদের করতে হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে। শিক্ষা এবং গবেষণায় অনেক অবদান রেখেছে। ২০১৯ এবং ২০২০ সালে গবেষণায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও গবেষণা এবং উদ্ভাবনী জ্ঞান চর্চা করতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহ বিশেষ অতিথি এবং লেখক-শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল সমাবর্তন বক্তা হিসেবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

আরও বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান তামারা হাসান আবেদ এবং ভাইস-চ্যান্সেলর ভিসেন্ট চ্যাঙ বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এমআইএইচ/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।