ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

১০০ ঘণ্টা ধরে অনশনে শিক্ষার্থীরা 

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
১০০ ঘণ্টা ধরে অনশনে শিক্ষার্থীরা  ছবি: বাংলানিউজ

শাবিপ্রবি (সিলেট): উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের ১০০ ঘণ্টা সময় অতিক্রম করেছে। দাবির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

 

রোববার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে অনশনরত শিক্ষার্থীদের ১০০ ঘণ্টা পার হয়েছে।

এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মুহাইমিনুল বাসার রাজ বলেন, আমাদের আন্দোলনে দশম দিন চলছে, অনশনে চলছে পঞ্চম দিন। এতে অনশনের ১০০ ঘণ্টা পার হলেও ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশানুরূপ সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই আমরা যতদিন উপাচার্যের লিখিত পদত্যাগপত্র আসবে না ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

এদিকে, সন্ধ্যায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের নিচ থেকে চৌকির ওপর সরিয়ে নেওয়া হয়।  

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যা থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে অনশনরত শিক্ষার্থীদের উপাচার্যের বাসভবনের ফটক থেকে একটু সামনে সরিয়ে চৌকির ওপর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে মোট ৮টা চৌকি বিছানো হয়েছে শিক্ষার্থীদের।

এখন অনশনে আছেন ২৮ জন শিক্ষার্থী। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে ১৫ জন হাসপাতালে ভর্তি আছেন। বাকি ১৩ জন অনশনরত অবস্থায় উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান করছেন। রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত গণঅনশনের অংশ হিসেবে যোগ দিয়েছেন আরও পাঁচজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তিনজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রী।  

১৯ জানুয়ারি বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ২৪ জন শিক্ষার্থী এ অনশন অংশ নেন। পরে পারিবারিক কারণে একজন বাড়িতে চলে যান। সেই থেকে এখন পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে ১৩ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু হয়। এদিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের ছাত্রীরা।  

১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। পরের দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করলে তাদের ওপর লাঠিপেটা, শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ।  

ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। পরে তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।  

আন্দোলন নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের আলোচনা হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।  

আরও পড়ুন:
উপাচার্যের বাসভবন অন্ধকার করে দিলেন শিক্ষার্থীরা

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২২
জেএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।