ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

১৭ লাখ বর্গফুট অ্যাকাডেমিক স্পেস ঘাটতি ঢাবির

সাজ্জাদুল কবির, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
১৭ লাখ বর্গফুট অ্যাকাডেমিক স্পেস ঘাটতি ঢাবির

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রতিষ্ঠাকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬০০ একর জমির ওপর স্থাপিত হলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির আয়তন অনেক কমে গেছে। প্রয়োজনীয় নথি, দখলদারিত্ব না থাকা, অপ্রয়োজনীয় পুলিশ ফাঁড়ি, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের জন্য জমি নেওয়ার কারণে এমনটি হয়েছে বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ৩০৪ একর। সে হিসেবে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক স্পেসের ঘাটতি আছে ১৭ লাখ বর্গফুট জায়গার।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে মাস্টারপ্ল্যান তৈরিতে নিযুক্ত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এক জরিপ থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান আয়তন হিসেবে দেখানো হয়েছে ৩০৪.২১ একর। এরমধ্যে মূল ক্যাম্পাসের আয়তন ২৭৬ একর। গ্রিন রোড (৬.১২ একর), ধানমান্ডি (০.১৩একর), হাজারীবাগ (১২.৩৭ একর), আজিমপুর নিউমার্কেট (৭.৭১ একর) ও আজিমপুর বটতলা (১.৬০ একর)।

এই ৩০৪ একরের মধ্যে অ্যাকাডেমিক কাজে ব্যবহৃত ৬১.৪৯ একর। প্রশাসনিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৪.২৪ একর, বাণিজ্যিক সুবিধায় ১.৪৭ একর, শিক্ষা সুবিধায় ৩.১৪ একর, স্বাস্থ্য সুবিধায় ০.৬৪ একর, ইতিহাস্-সংস্কৃতিতে ৮.৬৯ একর, মল চত্তর ৬.১৪ একর, ঢাবি বহিভূর্তদের অধীনে ৭.৫৯ একর, বিনোদনমূলক সুবিধায় ১০.৬ একর, ধর্মীয় সুবিধায় ২.৩৮ একর, কর্মচারীদের আবাসনে ১৪.৪ একর, শিক্ষার্থীদের আবাসনে ১২৮.১৫ একর, শিক্ষকদের আবাসনে ৩০.৭১ একর।  

 

অপরদিকে ২০২০ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী পরিসংখ্যান বিবেচনায় বর্তমানে ১৭ লাখ ২২ হজার ৪১০ বর্গফুট অ্যাকাডেমিক স্পেসের ঘাটতি আছে। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান বিবেচনায় কলা অনুষদে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮০ বর্গফুট, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদে ২ লাখ ১৪ হাজার ২৫৬ বর্গফুট, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩৬ বর্গফুট, চারুকলায় ৭ হাজার বর্গফুট, বিজ্ঞান অনুষদে ৫৮ হাজার ৮১২ বর্গফুট, জীববিজ্ঞান অনুষদে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৯৮ বর্গফুট, ফার্সেসি অনুষদে ২৯ হাজার ৭৯৮ বর্গফুট, আর্থ অ্যান্ড অ্যানভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস ও আইন অনুষদে ৬৫ হাজার ৩৬৭ বর্গফুট, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদে ১ লাখ ২৮ হাজার ৩১৭ বর্গফুট এবং ইনস্টিটিউটে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৬২৬ বর্গফুট।

 

টাইমস স্যাভার স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ ভাগকে টিচিং এরিয়া, ১৫ ভাগকে নন-টিচিং এরিয়া ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ২৫ ভাগ ধরা হয়। সে হিসেবে একজন শিক্ষার্থীর জন্য শ্রেণিকক্ষে ২০ বর্গফুট, আর্টরুমে ৫০-৬০ বর্গফুট, ল্যাবে ৫০-৭০ বর্গফুট ও ক্যাফেটেরিয়ায় ১৫ বর্গফুট ধরা হয়।

 
বাংলাদেশ সময় ১২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
এসকেবি /এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।