ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘পূর্ণাঙ্গ আর্থসামাজিক রূপান্তরে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
‘পূর্ণাঙ্গ আর্থসামাজিক রূপান্তরে বাংলাদেশ সঠিক পথেই আছে’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি।

ঢাকা: বিশ্বমঞ্চে জাতির একটি জোরালো অবস্থান নিশ্চিত করতে আর্থসামাজিক রূপান্তরের যে প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে, ২০৪১ সালের মধ্যে সেটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে বাংলাদেশ ঠিক পথেই রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান, এমপি।

শনিবার (১৩ নভেম্বর) ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগ আয়োজিত দিনব্যাপী এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

‘বাংলাদেশ ইন ২০৪১: নোশনস অ্যান্ড ন্যারেটিভস অফ ডাইভার্সিফিকেশন অ্যান্ড ট্রান্সফর্মেশন’ শীর্ষক এ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান। স্বাগত বক্তব্য দেন আইইউবি’র উপাচার্য তানভীর হাসান, পিএইচডি।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার (ইউএনইচসিআর) বাংলাদেশ প্রতিনিধি জোহানেস ভান ডি ক্ল, বাংলাদেশে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) দূত চার্লস হোয়াইটলি, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান এবং আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী।

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১-ই সেই বছর যখন আমরা আমাদের শক্তির জায়গাগুলো সঠিকভাবে বুঝতে পারবো এবং তার পরিপূর্ণ সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে উন্নয়নের প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নিতে পারবো।  

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে উদ্যোক্তা প্রতিভার এক অভাবনীয় উন্মেষ ঘটেছে এবং সেটার সূচনা হয়েছে ৫০ বছর আগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে।

আইইউবি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জন্য গত ৫০ বছর কেমন ছিল আমরা তা নিয়ে কথা বলেছি। পরবর্তী ধাপে যেতে হলে কি করতে হবে তা নিয়েও কথা বলেছি। এক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে হবে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরই। আমাদের অগ্রযাত্রায় এই মুহূর্তে দারুণ গতিসঞ্চার হয়েছে। সেই গতি কোনোভাবেই কমতে দেওয়া যাবে না।

আইইউবি’র উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কঠোর পরিশ্রমী এবং কষ্টসহিষ্ণু। চ্যালেঞ্জ নিতে তারা কখনো পিছপা হয় না। উন্নয়ন তরান্বিত করতে আমাদের জরুরি ভিত্তিতে মানবসম্পদ উন্নয়নে বিনিয়োগ করতে হবে। তাই দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে তাদের পাঠ্যক্রম ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানাই যাতে শিক্ষার্থীরা দ্রুতপরিবর্তনশীল বিশ্ব বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে আরও ১৪টি আলাদা আলাদা সেশন ছিল এবারের সম্মেলনে। দেশীয় শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বেশ কয়েকজন বিদেশি বিশেষজ্ঞও অনলাইনে যোগ দেন এই সম্মেলনে। যেসব বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ও শরণার্থী, তরুণদের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে দায়িত্বশীলতা, জনস্বাস্থ্য, লোকপ্রশাসন ও অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, বৈদেশিক নীতি ও রাজনীতি, ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, ইত্যাদি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।