ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২১
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ ‘প্রগতিশীল ও সম্প্রীতির উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা

ঢাকা: হিন্দু জনগোষ্ঠীর আশাব্যঞ্জক সাড়া পাওয়ায় মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।

তিনি বলেন, ‘নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন দক্ষ ও সুনাগরিক তৈরিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে বাস্তবায়নাধীন মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম অপরিসীম ভূমিকা রাখছে।

মঙ্গলবার (৩ মার্চ) রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে ‘প্রগতিশীল ও সম্প্রীতির উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্পের ভূমিকা’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাগুলো ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক সমাজ বিনির্মাণের মহান লক্ষ্যে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিকতা বিকাশের মাধ্যমে উদার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সর্বজনীন সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে। ’

তিনি বলেন, ‘ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মদার্যাপূর্ণ এ প্রকল্পটি সারাদেশের ৬ হাজার ৪৫০টি মন্দির অবকাঠামো ব্যবহার করে ৫ হাজার ৮০০টি প্রাক-প্রাথমিক, ৪০০টি গীতা শিক্ষা ও ২৫০টি বয়স্ক স্তরের শিক্ষাকেন্দ্র পরিচালনা করছে এবং প্রতিবছর ১ লাখ ৯২ হাজার ২৫০ জন শিক্ষার্থীকে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধসমৃদ্ধ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা দিচ্ছে, যা হিন্দু জনগোষ্ঠীর আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদার, ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীল, গণতান্ত্রিক ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে তিনিই প্রথম তার ১৯৯৬-২০০১ শাসনামলে এ প্রকল্প নিয়েছিলেন। বর্তমানে প্রকল্পটির পঞ্চম পর্যায়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটির সাফল্যের কারণে পরবর্তী ধাপে এ প্রকল্পের কার্যক্রম চালু করতে ইতোমধ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। ’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশের উন্নয়ন যেমন আজকের বিশ্বের বিস্ময় রোলমডেল, ঠিক তেমনই এদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিও বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ’

মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম—পঞ্চম পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) রঞ্জিত কুমার দাসের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ন চন্দ্র চন্দ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন শীল গোপাল, ধর্মসচিব মো. নূরুল ইসলাম, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত পাল, ট্রাস্টি অশোক মাধব রায়, অতিরিক্ত সচিব মো. আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও মু. আ. হামিদ জমাদ্দার এবং ট্রাস্টের সচিব ডা. দিলীপ কুমার ঘোষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
এমআইএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।