ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রতিবন্ধী শিশুদের অভাবনীয় সাফল্য, ৯৪.৯৮ শতাংশ পাস

মাজেদুল নয়ন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১১
প্রতিবন্ধী শিশুদের অভাবনীয় সাফল্য, ৯৪.৯৮ শতাংশ পাস

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য লাভ করেছে প্রতিবন্ধী শিশুরা। সারাদেশে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৯৭ জন শিশুর সফলতার পথে প্রতিবন্ধকতা বাধা হতে পারেনি।



প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলে ৪১৮ জনের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ৩৯৭ জন। পাশের হার ৯৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ প্রাপ্তও রয়েছে ১ জন।  

সোমবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ৪৯৮ জন শিক্ষার্থী সমাপনী পরীক্ষার জন্য তালিকাভুক্ত ছিল। যাদের মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ২৩৬ এবং ছাত্রীর সংখ্যা ১৬২ জন।

কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৪১৮ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে  ১৯৫ জন ছাত্র এবং ২২৩ জন ছাত্রী। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের হার ৮৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

পরীক্ষায় অকৃতকার্যের সংখ্যা মাত্র ২১ জন।  

খুলনা বিভাগের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাশের হার ৯৭ দশমিক ৯৬ শতাংশ। তবে এ বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৫ জন ছাত্রের সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে একজন পেয়েছে জিপিএ-৫। ৪৩ জন ছাত্রী অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হয়েছে ৫ জন।

রাজশাহী বিভাগে পাশের হার ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ। এ বিভাগে ২৪ জন প্রতিবন্ধী ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। এছাড়াও ৪১ জন ছাত্রীর মধ্যে ৫ জন অকৃতকার্য হয়েছে।  

ঢাকা বিভাগে প্রতিবন্ধী ৯৩ জন ছেলে এবং ৭৪ জন মেয়ে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এদের মধ্যে পাশের হার ৯২ দশমিক ২২ শতাংশ। এ বিভাগে ছেলেদের মধ্যে ৯ জন এবং মেয়েদের মধ্যে ৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেনি।  

চট্টগ্রাম বিভাগে প্রতিবন্ধী শিশুদের উত্তীর্ণের হার ৯৮ শতাংশ। এ বিভাগে ৪৩ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। তবে ৭ জন ছাত্রের মধ্যে একজন উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

বরিশাল এবং রংপুর বিভাগের বিশেষ প্রতিবন্ধী শিশুদের সাফল্য অভাবনীয়। দু’বিভাগেই পাশের হার শতভাগ।

বরিশালে ৯ জন ছাত্র এবং ১৬ জন ছাত্রীর সকলেই সাফল্য অর্জন করেছে। আর রংপুরে ৭ জন ছাত্র এবং ৫ জন ছাত্রীর সকলেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে উর্ত্তীর্ণ হয়েছে।

এবারের পরীক্ষায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্যে মূল সময়ের চেয়ে ১৫ মিনিট বাড়তি সময় দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে যারা নিজেরা লিখতে পারে না, তাদের জন্য নিচের শ্রেণীর একজনকে দিয়ে লেখানোর অনুমতি ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২, ডিসেম্বর ২৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।