ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সিঁড়িতেই ক্লাস নিলেন ঢাবি শিক্ষক রুশাদ ফরিদী

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
সিঁড়িতেই ক্লাস নিলেন ঢাবি শিক্ষক রুশাদ ফরিদী সিঁড়িতে ক্লাস নিচ্ছেন ড. রুশাদ ফরিদী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: আদালত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণার পরও শ্রেণিকক্ষে ক্লাস নিতে না পেরে সিঁড়িতেই ক্লাস নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী।

রোববার (১ ডিসেম্বর) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিঁড়িতে পরিসংখ্যানের ক্লাস নেন তিনি। তার ক্লাসে শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ঢাবি শিক্ষক রুশাদ ফরিদী বলেন, ক্লাস নেওয়ার প্রস্তাব এসেছে আমার ছাত্রদের কাছ থেকে। আমাকে একটা ক্লাসও নিতে দেওয়া হচ্ছে না। একারণে সিঁড়িতেই ক্লাস নিতে হলো। শিক্ষার্থীরা যদি চায়, তাহলে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

২০১৭ সালে জুলাই মাসে অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক উপাচার্য থাকাকালীন সিন্ডিকেট সভায় ড. রুশাদ ফরিদীকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, নিজ বিভাগের ৩১ জন শিক্ষক রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, কেউ তার সঙ্গে কাজ করতে চান না। পরে এ শিক্ষক তখনকার উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), রেজিস্ট্রার ও বিভাগের সভাপতি বরাবর উকিল নোটিশ পাঠান। অভিযোগটিকে মিথ্যা দাবি করে আদালতে মামলাও করেন তিনি। সেই মামলার রায়ে গত ২৫ আগস্ট উচ্চ আদালত ড. রুশাদ ফরিদীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের দেওয়া বাধ্যতামূলক ছুটির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন এবং তাকে অনতিবিলম্বে কাজে যোগদান করতে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

তবে বিভাগে আদালতের কপি জমা দিতে না পারায় যোগদান করতে পারছিলেন না ড. রুশাদ ফরিদী। সবশেষ ক্লাসে ফেরার আকুতি জানিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) প্ল্যাকার্ড হাতে বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন এ শিক্ষক। সেই প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আমি শিক্ষক, আমাকে ক্লাসে ফিরে যেতে দিন’। তার এই প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে থাকার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।

প্ল্যাকার্ড হাতে রুশাদ ফরিদী।  ছবি: বাংলানিউজ

এ বিষয়ে ড. রুশাদ ফরিদী বাংলানিউজকে বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। রায়ের কপি জমা দিতে না পারায় যোগদান করতে দিচ্ছে না। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে আদালতের রায়ের কপি পাওয়া সময়সাপেক্ষ। আমি তাদের এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এসকেবি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।