ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই ভূমিকা রাখতে হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেই ভূমিকা রাখতে হবে

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সবখাতেই সাফল্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে অন্যতম তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রসার। আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) যুগের অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র বাংলাদেশ।

এখন চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের জন্য দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি ও বিশ্বজুড়ে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়। আমাদের দেশের জনসংখ্যা ফ্রান্স, জার্মানি এবং নেদারল্যান্ডসের সম্মিলিত জনসংখ্যার সমান।

আমাদের জনসংখ্যা ১৬ কোটির বেশি।  

আমাদের জনসম্পদ রয়েছে। আছে ৮ কোটি তরুণ-যুবক। তারাই আমাদের সম্পদ। তারা মেধাবী। তাদের কাজে লাগাতে হবে। সেটা দেশে কিংবা বিদেশে। তাদের কাজ দিতে হবে, রিসোর্স দিতে হবে। ভালো জীবন দিতে হবে। আর এই সময়ে এসে এটা খুবই সম্ভব।  

হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি স্বনির্ভর বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলেন। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

তার নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও প্রখ্যাত তথ্যপ্রযুক্তিবিদ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরিকল্পনায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা লাভ করছে।  

বর্তমানে দেশের প্রায় ১৫ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। ইন্টারনেট পৌঁছে গেছে প্রায় ৮ কোটি বেশি গ্রাহকের হাতে। দেশের সব অঞ্চলের মানুষই ডিজিটাল বাংলাদেশ, হাইটেক পার্ক, আইসিটি ও আইটি-র কথা বোঝে। সবার মধ্যে এর একটা প্রভাবও আছে। আগ্রহ তো বটেই।  

আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য ভিশন-২০২১, ২০৩০, ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান দিয়েছেন। এসবের তত্ত্বাবধানও করছেন তিনি।

এক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আরও বেশি কার্যকর পদত্যাগ নেওয়া দরকার। সেখান থেকে তরুণেরা অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা একটা গাইডলাইন বা নির্দেশনা পাবে। যাতে ভবিষ্যত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের দক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠতে পারে তারা।  

এতে দেশে তরুণদের কাজে লাগানো যাবে। পাশাপাশি সম্মানজনক চাকরি নিয়ে বিদেশেও যেতে পারবে তারা। এক্ষেত্রে এশিয়ার দেশ জাপান হতে পারে বাংলাদেশের তরুণ আইটি পেশাজীবীদের কাজের গন্তব্য।  

এখানে উল্লেখ্য, সরকারের তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। জাপান আমাদের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগী। সে দেশের সংস্থা জাইকাও আমাদের সঙ্গে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।   

‘উদীয়মান সূর্যের দেশ’ বলে অভিহিত জাপান বেশ শক্তিধর রাষ্ট্র। মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) অনুযায়ী দেশটির অবস্থান বিশ্বে তৃতীয়। আর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সামর্থ অনুযায়ী চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি জাপানের। জাপান বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানিকারক এবং বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ।  

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত দিক থেকেও জাপান খুবই অগ্রগামী (অ্যাডভান্স) একটি রাষ্ট্র। তাদের জীবনযাত্রাও বেশ উন্নত। জাপানের রয়েছে অসংখ্য হাইটেক কোম্পানি। যেগুলো বিশ্ববাজারে নেতৃত্বস্থানে রয়েছে। সেখানে কাজের পরিবেশও ভালো।  

এসব কোম্পানিতে আইসিটিনির্ভর ছেলে-মেয়ে দরকার। কিন্তু তাদের এর অভাব রয়েছে। দক্ষ জনশক্তির অভাব তাদের সবখাতেই আছে। তবে এই খাতে বেশি। সেই জায়গা থেকে আমরা যদি এই বাজারটা ধরতে পারি তাহলে বাংলাদেশ লাভবান হবে। ‘সমৃদ্ধ সোনার বাংলা’ গড়ার পথ অনেকটা সহজ হবে।  

জাপানে অসংখ্য হাইটেক ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য তারা এরই মধ্যেই প্রস্তুত। আমরাও প্রস্তুতি নিচ্ছি। এক্ষেত্রে এটি হতে পারে আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক।

দেশে আইটি/আইটিইএস শিল্পের বিকাশ ও বিস্তার, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ, বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকার হাইটেক পার্ক, সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক, আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করছে।  

এসব পার্কে বিভিন্ন ধরনের হাইটেক শিল্প ও ব্যবসা, (যেমন- জ্ঞান ও পুঁজি নির্ভর, পরিবেশবান্ধব তথ্যপ্রযুক্তি, সফটওয়ার টেকনোলজি, বায়ো-টেকনোলজি, রিনিউঅ্যাবল অ্যানার্জি, গ্রিন টেকনোলজি, আইটি হার্ডওয়ার, আইটিইএস ও রিসার্চ অ্যান্ড ভেভেলপমেন্ট ইত্যাদি শিল্প স্থাপন ও পরিচালনার সুযোগ রয়েছে।  

জাপানের হাইটেক পার্কগুলোতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কাজ করলে টেকনোলজিক্যালি একটা ট্রান্সফার হবে। অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়ন হবে। আর দেশে ফিরে ওই বিশেষজ্ঞরা আমাদের হাইটেক পার্কগুলোকে বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে পারবে। এটা আমাদের বেজলাইন বা ভিত্তি হিসেবে কাজ করতে পারবে।  

আর সেই জায়গা থেকে জাইকা (জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা) কিংবা ওই দেশের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) এমনই একটা প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করে দিতে চায়।  

যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স কারিকুলামে যুগোপযোগী শিক্ষার পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতার বিষয়টিও যুক্ত হয়। অন্ততপক্ষে বাংলাদেশের জন্য সহজ ও এশিয়ার দেশ হিসেবে জাপানের বাজারকে ধরতে ও ইনফরমেশন টেকনোলজি ইঞ্জিনিয়ার্স এক্সামিনেশনের (আইটিইই) জন্য যা যা করণীয় এবং যেসব বিষয় থাকা দরকার তা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত করা।  

আইটিইই হচ্ছে- আর্ন্তজাতিক চাকরির বাজারে তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের দক্ষতা পরিমাপের জন্য একটি পরীক্ষা। এটা অনেকটা জিআরই-র (গ্র্যাজুয়েট রেকর্ড এক্সামিনেশন) মতো। এর মাঝে রয়েছে, ফান্ডামেন্টাল অব ইনফরমেশন টেকনোলজি, বিজনেস স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজমেন্ট, টেকনিক্যাল স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজমেন্ট ও করপোরেট অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্সের মতো বিষয়।
কর্মশালার সাইড লাইনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসন, পাশে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর মো. আলমগীর। আমাদের দেশে অনেক আইটি গ্র্যাজুয়েট-ই এই পরীক্ষা দিচ্ছেন। কিন্তু সেভাবে তারা ভালো করতে পারছেন না। এর কারণ হিসেবে বলা যায়, তারা শুধু পাঠ্যপুস্তকের দিকে নজর দিচ্ছেন, এসব বিষয়ে নজর কম দিচ্ছেন। আর তাদের সিলেবাসেও কিছুটা ঘাটতি রয়েছে।

আইটিইই পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্ষেত্রে পাসের হার মাত্র ৫-১১ শতাংশ। অন্য অংশে ভালো করলেও বেঞ্চমার্কে সেভাবে ভালো করতে পারছেন না তারা। তবে এর মানে এই নয় যে আমাদের ছেলে-মেয়েরা কম মেধাবী।  

আসলে এজন্য যা পড়ানো প্রয়োজন তা তারা পড়ছেন না। জাপান মার্কেট বা যে পরীক্ষার জন্য যেটা দরকার সেটা তারা পড়ছেন না। তাই শুধু ডিগ্রি নিলেই হবে না। এর সঙ্গে দক্ষতা অর্জনের জন্য কিছু প্রফেশনাল কোর্স বা সার্টিফিকেটও অর্জন করতে হবে।  

আমরা আমাদের আইটি গ্র্যাজুয়েটদের বিজনেস স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজমেন্ট, টেকনিক্যাল স্ট্র্যাটেজি ম্যানেজমেন্ট, করপোরেট অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ে শিক্ষা দিতে পারি। তাদের এ বিষয়ে প্রফেশনাল বা ভেন্ডর সার্টিফিকেট অর্জন করতে হবে।  

এ বিষয়ে উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। ইউজিসি ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যৌথ উদ্যোগে গত ১৩ নভেম্বর একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এতে সহযোগিতা করেছে আইসিটি বিভাগ।  

এতে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় একটি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়। সেটি হচ্ছে- আইটি সংশ্লিষ্ট বিভাগে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের বিষয়াবলী অন্তভুর্ক্ত করা এবং তা সম্ভব।  

একটা বিষয় সবাই বুঝতে পারে যে, জাপান মার্কেট দক্ষ জনশক্তি রপ্তানি আমাদের জন্য একটি নতুন সম্ভাবনা। আর এ সুযোগ সব সময় থাকবে না। তাই এটি কাজে লাগাতে পারলে আমরা একটি বিশাল জনগোষ্ঠীকে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে পারবো। তাদের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটবে। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে, সর্বোপরি দেশের উন্নয়ন হবে।  

আর চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা জাপান হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিতে আছে। সেখানে আমাদের ছেলেরা কাজ করলে টেকনোলজিক্যালি একটা ট্রান্সফার হবে। আমাদের হাইটেক পার্কগুলো সাজাতে এটি খুব কাজে দেবে।  

জাপানের যেহেতু দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন, তাই এই সুযোগটা সবাই নেওয়োর চেষ্টা করবে। ভারত, ভিয়েতনাম, নেপাল নেওয়ার চেষ্টা করবে। সেক্ষেত্রে এখন থেকেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে  আমাদের যে বিশাল জনশক্তি অর্থাৎ মেধাবী তরুণ রয়েছে তাদের সেখানে কাজে লাগাতে লাগানো যায়।  

আর এটা করতে পারলে শুধু জাপানেরই নয়, আমাদেরও উন্নয়ন হবে। কারণ তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হলে আমাদের এখানে বিনিয়োগ বাড়াবে। সুতরাং এটি দুই দেশের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ।  

আমাদের কোনোমতেই পিছিয়ে পড়ার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপকল্প ২০২১, ২০৩০, ২০৪১ এবং শতবর্ষব্যাপী ডেল্টাপ্ল্যান দিয়েছেন, ওই সময়ে উন্নত বিশ্বে পৌঁছানোর জন্য আমাদের নলেজ ইকোনমি (জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি) করতে হবে।  

এজন্য বড় বড় কোম্পানি, টেকনিক্যাল কোম্পানি প্রয়োজন। আর সার্বিক প্রেক্ষাপটে জাপানে কাজ করলেই আমাদের তরুণেরা রিয়েল প্র্যাকটিস করতে পারবে। আমাদের এই সুযোগটা কাজে লাগানো উচিত। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাথমিকভাবে আগামী তিনবছরের মধ্যে ১০ হাজার আইটি প্রফেশনাল তরুণকে জাপানে পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ সংখ্যা বেশি হলে আরও ভালো।  

এক্ষেত্রে জাপানি ভাষা শিখতে হবে। জাপানি ভাষার দক্ষতা থাকতে হবে এন-ফোর ও এন-ফাইভ লেভেল । তবেই তরুণেরা আইটিইই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে জাপান মার্কেটে যেতে পারবে। আমাদের ছেলে-মেয়েদের বেশ সুনাম রয়েছে জাপানে। এজন্য জাপান দূতাবাস ও জাইকাও চাইছে বাংলাদেশি তরুণেরা যাক দেশটিতে। তাই এই বিশাল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে।  

আর পেশাগত দক্ষতা অর্জন করলে যে জাপান যেতে হবে বিষয়টা এমন-ও নয়, দেশেও নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনেক ভালো করতে পারবে তরুণেরা। মোদ্দাকথা, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য নিজেকে গড়ে তুলতে। এজন্য সঠিক পথে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। তবেই গড়ে ওঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা।  

২০১৫ সালে জাপানে শ্রমের চাহিদা পূরণে বিদেশি শ্রমিক নিয়োগের কঠোর অভিবাসন নীতি শিথিল করে দেশটির পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস করা হয়। সেখানে বলা হয়, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ৩ লাখ ৪৫ হাজার শ্রমিক নেওয়া হবে। এরই ধারাবাহিকতায় জাপানের সঙ্গে জনশক্তি রপ্তানি বিষয়ক একটি চুক্তি সই করে বাংলাদেশ।  

এরপরই মূলত কোনো ধরনের খরচ ছাড়াই দক্ষ শ্রমিক হিসেবে বাংলাদেশিদের জন্য জাপানে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।  

লেখক: তথ্যপ্রযুক্তিবিদ; সদস্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।  

বাংলাদেশ সময়: ১০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।