ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ফেনীতে পৌঁছেছে ২০২০ সালের প্রাথমিকের সব বই

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
ফেনীতে পৌঁছেছে ২০২০ সালের প্রাথমিকের সব বই

ফেনী: ২০২০ সালে বিতরণের জন্য প্রাথমিকের সব বই ফেনীতে পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম।

রোববার (১৭ নভেম্বর) বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান ফেনীর এ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

তিনি জানান, ২০২০ সালে ফেনীর ৫৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯শ ৬৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ লাখ ৮ হাজার ২৪টি নতুন বই বিতরণ করা হবে।

১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বই উৎসব নিশ্চিত করতেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের আগে বই পাঠিয়েছে।

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম কে ইমাম উদ্দিন বলেন, বুধবার (১৩ নভেম্বর) পর্যন্ত প্রাক-প্রাথমিকসহ সবগুলো শ্রেণির বই আমরা বুঝে পেয়েছি। কয়েক ধাপে বইগুলো আমাদের হাতে এসে পৌঁছেছে। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ স্কুলগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী বই বিতরণ করা হবে।

ফেনী সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় থেকে নতুন বই বছরের প্রথম দিন বই উৎসবের মাধ্যমে পেয়ে যাবে।

সোনাগাজী উপজেলার ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুর রহমান বলেন, তিন ধাপে সর্বশেষ বুধবার (১৩ নভেম্বর) চাহিদা অনুযায়ী সবগুলো বই বুঝে পেয়েছি। যথাসময়ে স্কুলগুলোতে বই সরবরাহ করা হবে।

ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ৬ উপজেলায় ২০২০ সালে নতুন বইয়ের জন্য ১ লাখ ৯৮ হাজার ৯০শ ৬৯ জন শিক্ষার্থীর চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। বইয়ের চাহিদা অনুযায়ী ফেনীর সদর উপজেলার ১শ ৫৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩ হাজার ১শ ৮ জন, দাগনভূঞা উপজেলার ১শ ২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ হাজার ৬০ জন, সোনাগাজী উপজেলার ১শ ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩১ হাজার ৪শ ৭৯ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলার ৭৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৩  হাজার ৫শ ৮৮ জন, পরশুরাম উপজেলায় ৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৩ হাজার ৫শ ৫২ জন এবং ফুলগাজী উপজেলার ৬৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৬ হাজার ১শ ৮২ জন।

বইয়ের চাহিদার বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, বছরের শুরুতে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক সরেজমিন বাস্তবতার ভিত্তিতে একটি চাহিদা তৈরি করেন। চাহিদাটি সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়। পরে উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অনলাইনে নির্দিষ্ট আবেদন ফরম পূরণ করা হয়। চাহিদা অনুযায়ী বই পাঠানো হয় প্রত্যেক উপজেলায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।