ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই বুটেক্সে ভর্তিপরীক্ষা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়াই বুটেক্সে ভর্তিপরীক্ষা

ঢাকা: একাডেমিক কাউন্সিলের কোনো ধরনের অনুমোদন ছাড়াই অনুষ্ঠিত হলো বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিপরীক্ষা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একক ক্ষমতাবলে সবকিছু পাশ কাটিয়ে ভর্তিপরীক্ষা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষার যে নীতিমালা তার ৪.৪ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, ভর্তি কমিটির সুপারিশকৃত ভর্তি নীতিমালা একাডেমিক কাউন্সিল দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। সবসময় এই নিয়ম অনুসরণ করা হলেও এবার তার ব্যতিক্রম করেছেন ভর্তিপরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম।

 

এমনকি স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তিপরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নেও নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তিপরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম।  

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বছর ২০১০ সাল থেকে শুরু করে প্রতিটি ভর্তিপরীক্ষার মডারেশনে মৌলিক বিজ্ঞান (পদার্থ, রসায়ন, গণিত) ও ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের রাখা হলেও এবার শুধু গণিত বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ছাড়া অন্য কোনো বিভাগের বিভাগীয় প্রধানদের সে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।  

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের একাধিক সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সবশেষ একাডেমিক কাউন্সিলের সভা হয়েছিল এ বছরের ৩০ জুলাই। সেই কাউন্সিলের কার্যপত্রের কোথাও ভর্তিপরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের অনুমোদনের বিষয়ে উল্লেখ নেই। তারপর এখন পর্যন্ত আর কোনো একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকেননি উপাচার্য।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের বহিসদস্যদের অভিযোগ এভাবে সবাইকে পাশ কাটিয়ে উপাচার্য একা ভর্তিপরীক্ষা নিয়ে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যদের সন্দেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতেই উপাচার্য এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছেন।  

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ভর্তিপরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল কাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. মনিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।  

এবছর বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৮ হাজার ২০৩ জন পরীক্ষার্থী। তেজগাঁওয়ের নিজস্ব ক্যাম্পাস ছাড়াও রাজধানীর আরও তিনটি কেন্দ্রে শুক্রবার একযোগে এই ভর্তিপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০১৯
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।