ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবি প্রশাসন-আন্দোলনকারীদের পৃথক সংবাদ সম্মেলন

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
জাবি প্রশাসন-আন্দোলনকারীদের পৃথক সংবাদ সম্মেলন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে উপাচার্য ফারজানা ইসলামকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ‘শিবিরের মদদ’ আছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্প ঘিরে গড়ে ওঠা আন্দোলনে শুধু বিশ্ববিদ্যালয় নয় বরং দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। আটক ওই দুই যুবকের স্বীকারোক্তিতে জানা গেছে যে, মশাল মিছিল কর্মসূচিকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘অস্থিতিশীল’ করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। ওই দুই যুবকের স্বীকারোক্তি ও তাদের মোবাইল থেকে প্রাপ্ত তথ্যে চলমান উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে আরও যারা সম্পৃক্ত সে সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা তদন্তের স্বার্থে এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ’ এ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়, সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ শেখ মো. মনজুরুল হক, প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি বশির আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রমুখ।

এদিকে নতুন কলা ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারের আন্দোলনকারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, ‘উপাচার্যের সার্বিক আচরণ আমাদের মধ্যে আস্থাহীনতার সৃষ্টি করেছে। গত মঙ্গলবারের মশাল মিছিল চলাকালে শিবির ধরার নামে একটি ‘জজ মিয়া’ নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং পুলিশের বক্তব্যে সামঞ্জস্য খুঁজে পাইনি। এছাড়া যেদিন তাদেরকে ধরা হয় সেদিনও প্রক্টরিয়াল বডির একেকজন সদস্য একেক রকম বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, শিবির ধরার বিষয়টি ষড়যন্ত্র। যাদেরকে আটক করা হয়েছে তারা কারা এ সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণা নেই। এটি একটি সাজানো ষড়যন্ত্র। এটি আসলে আন্দোলন বানচালের অপচেষ্টা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আন্দোলনকারীরা দাবি, মশাল মিছিল চলাকালে শিবির ধরার নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি ‘জজ মিয়া’ নাটক মঞ্চস্থ করার চেষ্টা করেছে।

এর আগে গত বুধবার রাতে শিবিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রাক্তন ছাত্রকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুপুরে তাদের দুজনের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নির্দেশে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন।

আটক অন্য শিক্ষার্থী প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের নূরুল আমিনকে আশুলিয়া থানা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (গোয়েন্দা) তসলিম উদ্দিন। তসলিম উদ্দিন বলেন, ‘সাদ শরীফের মোবাইলে বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ থাকায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)ক, ২৯(২) এবং ২৬(২) নং ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৫৮। আর নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তবে এখনো তদন্ত চলমান আছে। ’

বাংলাদেশ সময়: ০০০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৯
জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।