ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উইলস লিটল ফ্লাওয়ারে ‘দুর্নীতি-অনিয়মের পাহাড়’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
উইলস লিটল ফ্লাওয়ারে ‘দুর্নীতি-অনিয়মের পাহাড়’ উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ

ঢাকা: রাজধানীর রমনা থানাধীন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজে ‘অনিয়মের পাহাড়’ পেয়েছেন ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার। ওই প্রতিষ্ঠানের ‘ন্যাশনাল কারিকুলামের অন্তর্গত নবম-দশম শ্রেণি স্কুল শাখায় ফেরত প্রদান এবং কতিপয় অনিয়ম সম্পর্কিত’ তদন্ত করতে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ মেলে।

উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মো. আব্দুল মালেকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা জেলা শিক্ষা অফিসার তদন্ত করে এই প্রতিষ্ঠানে নানা অসঙ্গতি পেয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ সোমবার (২১ অক্টোবর) এক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে অনিয়মের ব্যাখ্যা ও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে।

 

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়/স্কুল অ্যান্ড কলেজের মতো এই প্রতিষ্ঠান প্রধানের পদ শূন্য থাকলেও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব বিধি মোতাবেক দেওয়া হয়নি।

পদোন্নতির বিধান না থাকলেও অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সহকারী শিক্ষক পদ থেকে প্রভাষক পদে, প্রভাষক পদ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে এবং পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদের নির্ধারিত ও প্রাপ্য বেতন স্কেলের অনেক ওপরের স্কেলে বেতন-ভাতা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।

সৃষ্ট/অনুমোদিত পদ, প্রয়োজনীয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাম্য যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও কোনো প্রকার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ ছাড়াই জনবল কাঠামোর বাইরে অপ্রয়োজনীয় অনেক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

জনবল কাঠামোতে নেই এমন অনেক পদের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জনকে দায়িত্ব দেওয়া এবং বড় অংকের বেতন-ভাতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি, সরকারি বিধি বিধান অনুসরণ না করে সহকারী প্রধান শিক্ষকের নির্ধারিত পদে কাম্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই এমন শিক্ষককে শাখা প্রধান নামে পদায়ন করা হয়েছে।

অপ্রয়োজনে ও কতিপয় ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার্থে অতিরিক্ত দু’জনকে শাখা প্রধান পদে ও একজনকে কো-অর্ডিনেটর পদে পদায়ন করে বাড়তি আর্থিক সুবিধা দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি করাসহ তহবিল সংগ্রহে অভিভাবকদের ওপর বাড়তি আর্থিক চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।

প্রভাষক পদ থেকে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত অবস্থায় মো. মসিউর রহমানকে কলেজ শাখায় প্রভাষক পদে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন-ভাতার বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুযায়ী সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

কলেজ পরিদর্শক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বিধি-বিধান পরিপন্থি স্তর বিভাজন বন্ধ করে এন্ট্রি শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি (ন্যাশনাল কারিকুলাম) পর্যন্ত স্কুল শাখায় ফেরত দিয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের পাঠদান করার সুযোগ, একাডেমিক কার্যক্রম সহকারী প্রধান শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করা, অনিয়মতান্ত্রিক নিয়োগ ও দায়িত্ব দেওয়া বন্ধ এবং সরকারি বিধি অনুসরণ করে জরুরিভিত্তিতে অধ্যক্ষের শূন্য পদ পূরণ, অনিয়মের ব্যাখ্যা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে অবগতির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।