ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাপানের ম্যাটসুনো পদক পেলেন জাবি শিক্ষক

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
জাপানের ম্যাটসুনো পদক পেলেন জাবি শিক্ষক পদক হাতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: আর্সেনিকের ক্ষতিকর প্রভাব ও তা নিরসন নিয়ে গবেষণার জন্য জাপানের ‘দ্য ম্যাটসুনো এনভায়রনমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স থেকে প্রতি বছর চারজন সেরা গবেষককে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। চলতি বছর ড. মোস্তাফিজ তার পিএইচডি গবেষণায় আর্সেনিক নিরসন বিষয়ে চমৎকার উপস্থাপনের জন্য এ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

 

পরিবেশ বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য পুরস্কার লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাবি ভিসি অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম ও অন্য বিভাগের শিক্ষকেরা।  

বাংলাদেশে বিভিন্ন এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি ও এর প্রতিকার নিয়ে গবেষণা করেছেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, অনেক আগেই আর্সেনিকের উপস্থিতি পাওয়া গেলেও কার্যত কোনো সমাধানের পথ খুঁজে পাননি বাংলাদেশের গবেষকেরা। তাই স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকার পরেও বিষাক্ত এই পানিই পান করছেন অনেকে।  

গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, আর্সেনিকের মতো একটি বিষাক্ত ধাতুকে সেলেনিয়াম দিয়ে কোষীয় পর্যায়ে এনে এর ক্ষতিকর প্রভাব কমানো যায়। রাসায়নিক গুণাগুণ বিচার করে দেখা গেছে, এই দু’টি (আর্সেনিক ও সেলেনিয়াম) পদার্থ ধাতব ও অধাতব (অপধাতু) পদার্থের মধ্যবর্তী অবস্থানে রয়েছে।  

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশের কয়েকটি এলাকায় আর্সেনিকের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। যেসব এলাকার মাটিতে অপর্যাপ্ত সেলেনিয়াম রয়েছে সেখানে আর্সেনিকের প্রভাব বেশি থাকে।  

গবেষণায় দেখা যায়, আর্সেনিকযুক্ত পানিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে পর্যাপ্ত সেলেনিয়ামের ব্যবহারে খাওয়ার উপযুক্ত (কোষীয় পর্যায়) পানি পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি, এ ধরনের বিষাক্ত পদার্থ থেকে উত্তরণের সম্ভাব্য উপায় বের করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের এ বিজ্ঞানী।  

তার গবেষণা শিরোনাম ছিল ‘Ameliorative effects of selenium on arsenic-induced cytotoxicity in PC12 cells via modulating autophagy/apoptosis’. এ গবেষণা পরিবেশ বিজ্ঞানের বিখ্যাত জার্নাল Chemosphere-এ (ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর: ৫.১০৮) প্রকাশিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত নবীন গবেষকের এ গবেষণার সাইটেশন ক্রমেই বাড়ছে। সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট রিসার্চগেট ডটনেট ও গুগল স্কলারসে এরই মধ্যে পাঠকপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে প্রতিবেদনটি।  

২০১১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগদান করেন ড. মোস্তাফিজ।  ২০১৪ সালে জাপানের হোক্কাইডো ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি শেষে ২০১৮ সালে আবারও যোগ দেন তিনি।  

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এইচ এম সা’দৎ বলেন, সম্প্রতি বিভাগীয় অ্যাকাডেমিক সভায় ড. মোস্তাফিজকে আমরা অভিনন্দন জানিয়েছি। তার এমন সফলতায় আমরা গর্বিত।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ১০১৯
কেএসডি/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।