ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাকৃবির ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বাকৃবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
বাকৃবির ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বর্ণাঢ্য র্যালি, গাছের চারা বিতরণ, মাছের পোনা অবমুক্তকরণসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাডে উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

পরে একটি বর্নাঢ্য র্যালি হ্যালিপ্যাড চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন অংশ নেয়।

র্যালি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদে মৎস্য খামারের সহযোগিতায় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে জার্মপ্লাজম সেন্টারের সহযোগিতায় স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে বনজ ও ফলজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়। দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদ এবং উপাসনালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাদিবস বাস্তবায়ন উপ-কমিটির সভাপতি ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসিমউদ্দিন খান।

এসময় উপাচার্য বলেন, বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ। দেশকে খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করার যে চ্যালেঞ্জ আমরা হাতে নিয়েছিলাম তাতে জয়লাভ করেছি। বর্তমানে আমরা দেশ থেকে খাদ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হচ্ছি। এটা সম্ভব হয়েছে বাকৃবির ৪৭ হাজার গ্রাজুয়েটদের সমন্বয়ে। তবে বর্তমানে দেশে নিরাপদ খাদ্যের বিষয়টি আমাদের সামনে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা যেমন দেশে ক্ষুধা-মঙ্গার অবসান ঘটিয়েছি তেমনি আমরাই একদিন পারব মানুষের মাঝে নিরাপদ খাদ্য পৌঁছে দিতে।

দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণ ও দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার লক্ষ্যে ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট গড়ে তোলা হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার উচ্চতর কৃষি শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিবছর ১৮ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় দিবস হিসেবে পালন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দীর্ঘ ৫৮ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং গবেষকদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে উদ্ভাবিত হয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শস্যের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি। খুব সম্প্রতি ইলিশ ও ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার, শুকনো পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ, একায়াপনিক্সের মাধ্যমে মাছ এবং সবজি উৎপাদন, তারাবাইম, গুচিবাইম ও বাটা মাছের কৃত্রিম প্রজননসহ অসংখ্য গবেষণায় রয়েছে বাকৃবির সাফল্য।

এরকম অসংখ্য গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য ওয়েবোমেট্রিক্স থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং এ বাংলাদেশের মধ্যে পরপর দু’বার শীর্ষস্থান অর্জন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।