ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভিকারুননিসার সব শাখার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৮
ভিকারুননিসার সব শাখার ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত সংবাদ সম্মেলনে ভিকারুননিসার শিক্ষকেরা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ভিকারুননিসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিটি শাখার সব শ্রেণির সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে।

বুধবার (৫ ডিসেম্বর) ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মুশতারী সুলতানা সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভিকারুননিসার সব ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

পরবর্তী সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ক্লাস-পরীক্ষার সময় এসএমএস'র মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

‘অরিত্রী ওদের সহপাঠী ছিল, তাই ওরা মর্মাহত। এ অবস্থায় তারা পরীক্ষায় বসতে পারবে না, আমরাও মর্মাহত। মেয়েদের স্বার্থেই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ’

সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে আমাদের ও শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ বানাবেন না। ওরা আমাদের মেয়ে। যা সত্য অনুগ্রহ করে তাই প্রকাশ করবেন।

ভর্তি বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য, রাজনীতিকীকরণসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রশ্নের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আমি আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারলাম না। ২-১ জন শিক্ষক কোচিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া যায়, কিন্তু সবার বিরুদ্ধে নয়। আমরা জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষের ভূমিকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তদন্তাধীন বিষয়। তদন্ত চলাকালীন কোনো বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তদন্তে যাদের দোষ বেরিয়ে আসবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে রাজধানীর শান্তিনগরে গলায় ফাঁস দিয়ে অরিত্রী অধিকারী (১৫) নামে ভিকারুননিসার এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করে। অরিত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শাখার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী’ হিসেবে তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন অরিত্রীর বাবা। মামলার আসামিরা হচ্ছেন অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি শিক্ষিকা হাসনা হেনা।

অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী জানান, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। রোববার (২ ডিসেম্বর) পরীক্ষা দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনার পর স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের স্কুলে যেতে বলে। স্কুলে যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, তার মেয়ে পরীক্ষার হলে মোবাইলের মাধ্যমে নকল করছিল। তাই তাকে টিসি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ খবর শোনার পর স্কুল থেকে অরিত্রী বাসায় ফিরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন>>>আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছি: ভিকারুননিসা শিক্ষক

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।