ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

২ হাজার পড়ুয়ার হাতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
২ হাজার পড়ুয়ার হাতে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পুরস্কার এক পড়ুয়া শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে শুরু হলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী উৎসব। রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের শিখা চিরন্তন সংলগ্ন মাঠে উৎসবটির আয়োজন করা হয়। উৎসবে দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ঢাকা মহানগরীর স্কুল পর্যায়ের ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুই দিনব্যাপী এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। উৎসবমুখর পরিবেশে রঙ-বেরঙয়ের বেলুন উড়িয়ে শুরু হয় উৎসব।

শুক্রবার সকালে পুরস্কার বিতরণী উৎসবের প্রথম পর্বে, ৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ১০২ শিক্ষার্থী পুরস্কার নেয়। দ্বিতীয় পর্বে পুরস্কার নেয় ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৭৫ শিক্ষার্থী। শনিবার (১৩ জানুয়ারি), বিকাল ৩টায় ঢাকা মহানগরীর ৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই হাজার ১৭ শিক্ষার্থী পুরস্কার নেবে।  

জানা যায়, এ উৎসবে তিনটি পর্বে সবমিলিয়ে ৯০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ছয় হাজার ১৯৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার দেওয়া হবে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব ও কবি ড. কামাল আবু নাসের চৌধুরী, জনপ্রিয় লেখক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল; কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং নাট্যাভিনেতা, অনুবাদক ও লেখক খায়রুল আলম সবুজ।  

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ-পরিবহন সচিব ও কবি আবদুস সামাদ; কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক এবং গ্রামীণফোনের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স পরিচালক এস. এম রায়হান রশীদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে আগত পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,  তোমরা যারা বই পড়ে পুরস্কার পাচ্ছো, আমি বিশ্বাস করি তাদের মানসিক শক্তি অন্যদের তুলনায় অনেক উন্নত।  

তিনি আরও বলেন, বইগুলো পড়ে তোমরা অনেক আনন্দ পাচ্ছো। এতে তোমারদের সময় অনেক চমৎকার কাটছে। যারা জীবনের পুরোটা সময় আনন্দে কাটাতে পারে তারাই সেরা মানুষ।  

অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করবে, কিন্তু প্রযুক্তি যেন তোমাদের ব্যবহার করতে না পারে। আর তোমাদের বন্ধুদের মধ্যে যারা বই পড়ে না, তাদের একটা করে মজার কোনো বই উপহার দাও। দেখবে এভাবে বই পড়ুয়াদের সংখ্যা দিনদিন বেড়ে যাবে।     

ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি, সেই বাংলাদেশকে তোমাদেরই বিনির্মাণ করতে হবে। তোমারাই আগামী দিনের বাংলাদেশ।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রাক্তন পরিচালক শরিফ মো. মাসুদ জানান, ঢাকা মহানগরীর প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থী বইপড়া কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ছয় হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে।  

আগামী বছরেও শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।  

পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন ও মূল্যবান পরামর্শ দেন উৎসবের অন্যান্য অতিথিরাও। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের যুগ্ম-পরিচালক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এনএইচটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।