ঢাকা, রবিবার, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে চাই

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
জাকসু নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে চাই সাহানোয়ার সাইদ শাহীন (ছবি: সংগৃহীত)

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সিনেটের রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচন ৩০ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচারণা এখন তুঙ্গে। এ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন ১১৯ জন। এরমধ্যে রয়েছে একটি জাতীয় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার সাহানোয়ার সাইদ শাহীন। গত ১৬ বছরের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে যুক্ত থাকার কারণে ভোটারদের মধ্যে ইতোমধ্যে জনপ্রিয় ও আলোচনায় রয়েছেন তিনি।

শাহীন বর্তমানে বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক দেশের সবচেয়ে বড় রক্তদাতাদের সংগঠন বাঁধনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন।

ছাত্র জীবনে সামাজিক সংগঠনে যুক্ত থাকার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে তার। ১০৭ নম্বর ব্যালট নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন তিনি।

সিনেট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে সম্পতি বাংলানিউজজের মুখোমুখি হয়েছিলেন সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।

বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নয়নে একজন সিনেট সদস্য কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে?
বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন চাইলে যে শুধু সিনেট সদস্যই হতে হবে বিষয়টি এমন নয়। যেকোনো অবস্থান থেকেই বিশ্বদ্যালয়ের উন্নয়নে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে। তবে সিনেট সদস্য হলে বৃহৎ পরিসরে উন্নয়নে অংশ নেওয়া ও কার্যকর নীতি গ্রহণের ক্ষেত্রে মতামত দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেখানেই আমি আমার অভিজ্ঞতাকে নিয়ে সুচিন্তিত মতামত রাখতে চাই। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আমার মায়ের মত। যেখানে যে অবস্থাতেই থাকি না কেন, মাকে সবসময়ই সবচেয়ে ভালো রাখতে চাই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে আপনার পরিকল্পনা কি?
দেখুন কোনো প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন করতে চাইলে তার সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করতে হয়। তা না হলে তার উন্নয়ন সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। গত ১০ বছর ধরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলোকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি। পেশার কারণে প্রতিষ্ঠানটির ভাল ও মন্দ দুটো দিকই নজরে এসেছে। তাই সমস্যাগুলো ধরে ধরে সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ নিতে চাই। আমার প্রধান লক্ষ্য হলো সিনেট নির্বাচনকে নিয়মিত করা। ১৯ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর পরপর নির্বাচনের উদ্যোগ নেব। জাকসু নির্বাচনের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ। বহিঃবিশ্বের উন্নত বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সংযোগ, সরকারের বরাদ্দকৃত অর্থের ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবহার, চাকরি মেলার আয়োজন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, প্রাক্তনদের মধ্যে আত্তিক বন্ধন আরো সুদৃঢ় করা।

কি ধরনের সমস্যা রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে?
বাজেটের  কার্যকর ও সঠিক ব্যয়ের পরিকল্পনা গ্রহণ করবো। বিশ্বদ্যালয়ের মোট বাজেটের ৮২ শতাংশই ব্যয় হচ্ছে বেতন-ভাতাতেই। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শিক্ষাখাতে মাত্র ১১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। গবেষণায় বৃত্তিতে অর্ধেকের কম ব্যয় করা হচ্ছে। হলগুলোর ডাইনিংএ ভুর্তকি তুলনামূলকভাবে কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য যৌক্তিক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব রাখবো। ইভিনিং কোর্স, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভর্তি ও উন্নয়ন ফিসহ বিভিন্ন খাত থেকে আয় বেড়েছে কর্তৃপক্ষের। এসব কোসের মাধ্যমে অর্জিত আয়ের ৬০ শতাংশ যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগারে। সেই অর্থের সিংহভাগ ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে ব্যয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

জাবির সিনেট নির্বাচনে কারা বেশি প্রভাবক হিসেবে থাকবে?
দীর্ঘ ১৯ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভূমিকা রাখবেন তাদেরই সিনেটর হিসেবে বেছে নেবেন সাধারণ ভোটারা। বয়সে তরুণ ভোটার ছাড়াও মননে তরুণ ভোটাররা এবারের নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৭
এসই/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।