ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

সিটিং সার্ভিসে শিক্ষার্থী উঠতে বাধা, বাস ভাংচুর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
সিটিং সার্ভিসে শিক্ষার্থী উঠতে বাধা, বাস ভাংচুর জবি ছাত্রদের সুপ্রভাত পরিবহনের সিটিং সার্ভিস বাসে উঠতে না দেয়ায় বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা একটি বাসে ভাঙচুর চালায়; ছবি: বাংলানিউজ

জবি (ঢাকা) :কম দূরত্বের বাহানায় সিটিং সার্ভিসের বাসে শিক্ষার্থীদের চড়তে বাধা দেয়ার জের ধরে রাজধানীতে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের(জবি) শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় এ ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় ভাঙা কাচের আঘাতে বাসটিতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর হাত কেটে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে রাজধানীর গুলিস্তান থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে আসার জন্য সুপ্রভাত পরিবহনের সিটিং সার্ভিস বাসে ওঠার সময় বাসের কন্ডাক্টর ও হেলপার তাদের ধাক্কা মেরে নিচে ফেলে দেয়। পরে ওই শিক্ষার্থীরা অন্য গাড়িতে চড়ে নয়াবাজার মোড়ে এসে সুপ্রভাতের গাড়িটিতে উঠেন। এ সময়ে গাড়িতে থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও কয়েকজন ছাত্র তাদের সঙ্গে একজোট হন। গাড়িটি ভিক্টোরিয়া পার্কের পাশে এসে পৌঁছালে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গাড়িটিতে ভাঙচুর চালান। ভাঙচুরের সময় ভাঙা কাচের আঘাতে গাড়িতে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর হাত কেটে যায়।

গাড়িটির চালক রনি ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের কাছে ভাড়া চাইলে তারা খুব খারাপ আচরণ করেন। তারা ২০ টাকার ভাড়া ৫ টাকাও দেন। এতেই তাদের সাথে আমাদের কথাকাটি হয়। ’

গাড়িতে উঠতে না দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, ‘আমাদের সিটিং গাড়ি। আমরা সিটের অধিক লোক নিতে পারি না। যখন তারা উঠতে চেয়েছিল তখন প্রায় ১০ জন গাড়ির ভেতরে দাঁড়িয়েছিল। তখন তো আমরা আরও বেশি শিক্ষার্থীকে গাড়িতে নিতে পারি না। এমনিতেই গাড়িতে অতিরিক্ত যাত্রী দাঁড় করিয়ে রাখলে যাত্রীরা চেঁচামেচি করেন এবং আমাদের উপর চড়াও হন। ’

অভিযোগ রয়েছে, সিটিং সার্ভিসের নামে সদরঘাট রুটে চলাচলকারী সুপ্রভাত পরিবহনসহ আরো বেশ কয়েকটি পরিবনের কন্ডাক্টর ও হেলপারেরা শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। শিক্ষার্থী দেখলে আর গাড়িতে উঠতে দিতে চান না তারা।

ভাঙচুরের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি খবর পেয়ে সাথে সাথেই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তখন সেখানে কাউকে পাইনি। পরে বাস মালিকদের নেতাদের সাথে কথা বলেছি। আমরা প্রশাসনিকভাবে বিষয়টা দেখব। তাই তাদের আগামী কাল আসতে বলেছি। তারা এলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সমাধানের পথ দেখবো। ’
বাংলাদেশ সময়:১৮৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০১৭
ডিআর/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।