ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘জাতীয়কৃত কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস উর্ত্তীণ হতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৮, ২০১৬
‘জাতীয়কৃত কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস উর্ত্তীণ হতে হবে’ ছবি:রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ এই স্লোগানে শিক্ষাভবনে সমাবেশ করার পাশাপাশি স্মারকলিপি দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি।

ঢাকা: ‘নো বিসিএস নো ক্যাডার’ এই স্লোগানে শিক্ষাভবনে সমাবেশ করার পাশাপাশি স্মারকলিপি দিয়েছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। সমাবেশে ঢাকা মহানগরের সকল সরকারি কলেজ ও বিভিন্ন অফিসে কর্মরত সকল শিক্ষা ক্যাডার সদস্যরা যোগ দেন।

বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শিক্ষাভবনে (ডিজি) প্রফেসর ডা. ওয়াহেদুজ্জামান বরাবর এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানের আগে সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে সাধারণ শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর আই কে সেলিমউল্লাহ খন্দকার বলেন, আমরা কলেজ জাতীয়করণের বিপক্ষে না। কিন্তু জাতীয়কৃত কলেজের শিক্ষকদের বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হতে হবে। না হলে তাদের ক্যাডারভুক্ত করা যাবে না।

তিনি বলেন, কলেজ জাতীয়করণ হলে শিক্ষকদের বদলির সুযোগ থাকতে হবে। শিক্ষানীতি ২০১০ বলা হয়েছে, কলেজ জাতীয়করণের পর নিয়োগকৃত শিক্ষকদের জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। আমরা বঞ্চিত হচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, জাতীয়করণের এই সমস্যার ফলে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তির পাওয়ার জন্য সমাবেশের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছি।

সাধারণ শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো হচ্ছে, জাতীয় শিক্ষানীতি অনুসারে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে নতুন জাতীয়করণের আওতাধীন শিক্ষকদের ননক্যাডার করে পৃথক বিধিমালা প্রণয়ন, ব্যাচ ভিত্তিক পদোন্নতি, ১৯৮৩ সালের এনাম কমিটির প্যাটার্ন মোতাবেক প্রাপ্য ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক চূড়ান্তকৃত প্রায় ১৪ হাজার নতুন পদ সৃষ্টি, পদসোপান প্রণয়ন ও পূর্ণ গড় বেতন অর্জিত ছুটি।

সমাবেশে প্রফেসর আই কে সেলিমউল্লাহ খন্দকারের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, সাধারণ শিক্ষক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব জীবন কৃষ্ণ মোদক, মহাসচিব সাহেদুল কবির চৌধুরীসহ ঢাকা মহানগরীর সকল সরকারি কলেজের শিক্ষকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০১৬
আরএটি/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।