ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

কারিগরি শিক্ষা-প্রশিক্ষণে যুবকদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০১৬
কারিগরি শিক্ষা-প্রশিক্ষণে যুবকদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন

নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এবং প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটি ফর ফুড সিকিউরিটিস (প্রুফস-ভেট) প্রোগ্রাম দুই বছর পূর্ণ করেছে। কারিগরি শিক্ষা-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এ প্রোগ্রাম।

ঢাকা: নেদারল্যান্ডস দূতাবাস এবং প্রফিটেবল অপরচ্যুনিটি ফর ফুড সিকিউরিটিস (প্রুফস-ভেট) প্রোগ্রাম দুই বছর পূর্ণ করেছে। কারিগরি শিক্ষা-প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করেছে এ প্রোগ্রাম।

শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া সাতটি জেলার সুবিধাবঞ্চিত কিশোর-কিশোরী বা যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, ক্ষমতায়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় দক্ষতা নীতিমালায় (এনএসডিপি-২০১১) অবদান রাখার মাধ্যমে সরকার, প্রাইভেট সেক্টরের অংশীধারিত্বের ভিত্তিতে এ প্রোগ্রাম কাজ করে যাচ্ছে।
 
প্রোগ্রামের আওতায় ২০১৪ সাল থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত প্রায় ২৩শ’ কিশোর-কিশোরী বা যুবকদের ইনফরমাল সেক্টরে বিভিন্ন ট্রেডে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয়, যা প্রায় ১১শ’ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা সম্প্রসারণ, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শিশুশ্রম কমানোসহ ৩৫শ’ পরিবারের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে।
 
২০১৪ সালে রানা প্লাজা ধসসহ সমস্যাগ্রস্ত কর্মস্থলের নিরাপত্তা ও শিশুশ্রম ঘটনাসমূহের ব্যাপকভাবে প্রচারের পর নেদারল্যান্ডস দূতাবাস প্রুফস কর্মসূচির একটি অংশ হিসেবে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড শুরু করে।

অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত মার্টিন-ফন হুগস্ট্রাটেইন বলেন, কার্যক্রমটি ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫শ’র বেশি কিশোর-কিশোরী-যুব এবং ব্যবসায়ী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়ন করেছে যা, তাদের কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ উন্নয়ন, শ্রম অধিকার সংরক্ষণ, নেটওয়ার্ক গঠন, মানসম্পন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ গ্রহণ, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিসহ নিম্নতম মজুরি নিশ্চিত করেছে।
 
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৩শ’ কিশোর-কিশোরী-যুবক এসেছে সাতটি জেলার দরিদ্র ও হতদরিদ্র পরিবার থেকে। এদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশের অধিক প্রশিক্ষণার্থী সফলভাবে তাদের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করেছে এবং তাদের মধ্য থেকে প্রায় ৭৫ শতাংশের কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। প্রায় ৪৭ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থী কিশোর এবং প্রতিবন্ধীর সংখ্যা ১ দশমিক ৫ শতাংশ।

ডেপুটি রাষ্ট্রদূত বলেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুব সমাজের সম্পৃক্ততা ও তাদের ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, অর্থনৈতিক সাম্যতা ও স্থিতিশীল সমাজ কাঠামোর মূল ভিত্তি।
 
কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি চার বছর মেয়াদী বৃহত্তর প্রুফস কর্মসূচির একটি অংশ, যা নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে আইসিসিও কো-অপারেশন উইথ এডুকেশন্স, আইডিই বাংলাদেশ, বিওপি আইএনসি, আরডিআরএস বাংলাদেশের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হয়েছে।
 
প্রুফস কর্মসূচির লক্ষ্য ৮০ হাজার দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, যার মধ্যে নারীদের গর্ভাবস্থায় এবং প্রজননকালীন সময়ের খাদ্যাভাস, সদ্যজাত এবং শিশুদের যত্ন, নিরাপদ পানি সরবরাহ, স্বাস্থ্যগত পরিবেশ এবং স্যানিটেশন, কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।

প্রুফস’র ফার্ম বিজনেস গ্রুপের সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি একযোগে কাজ করেছে। এই সমন্বিত কৌশলের মাধ্যমে ৮০ হাজার পরিবারের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ তাদের জীবনযাত্রার সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।