ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আট বোর্ডের সেরা পাঁচ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
আট বোর্ডের সেরা পাঁচ

ঢাকা: প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে রাজশাহী বোর্ডে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর সবচেয়ে কম পাস করেছে চট্টগ্রাম বোর্ডে।

বোর্ড ভিত্তিক শীর্ষ পাঁচ-এ যারা ঠাঁই করে নিয়েছেন-
 
চট্টগ্রাম বোর্ড:
এই বোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪০৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৭।

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ডা. খাস্তগীর গার্লস হাইস্কুল। স্কুলটি থেকে ৩৩৪ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ৩৩৩ জন পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৮৫ জন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৫৫ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা সমিতি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ চতুর্থ স্থানে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে ৪২৬ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। ৪২৫ জন পাস ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩০৩ জন। পঞ্চম হয়েছে ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটি ১০৬ জন পরীক্ষার্থী শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯৩ জন।
 
বরিশাল বোর্ড:
বোর্ডের ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে বরিশাল ক্যাডেট কলেজ। কলেজটির ৫৫ জন পরীক্ষার্থীর সকলেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ। প্রতিষ্ঠানের ২৮৫ শিক্ষার্থী শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০৫ জন।
 
তৃতীয় হয়েছে বরিশাল জেলা স্কুল। প্রতিষ্ঠান থেকে ২৬৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে ২৬৮ জন পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭৪ জন। চতুর্থস্থানে রয়েছে তাসলিমা মেমোরিয়াল একাডেমী। প্রতিষ্ঠানটির ৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৯ জন।
 
সিলেট বোর্ড:
সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৫ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা, পাসের হার, জিপিএ-৫ ও প্রাপ্ত পয়েন্টের ভিত্তিতে সেরা ২০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করেছে সিলেট শিক্ষা বোর্ড।

তালিকায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও বোর্ড সেরার অবস্থান ধরে রেখেছে সিলেট ক্যাডেট কলেজ। এ বছর প্রতিষ্ঠানটির ৫৪ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

দ্বিতীয় হয়েছে জালালাবাদ ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশ নেন ১৮৬ জন, পাস করেন ১৮৬ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪২ জন।
 
তৃতীয় ব্লু বার্ড হাইস্কুল এ প্রতিষ্ঠানের ২৮০ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৫৩ জন। চতুর্থ গভ. অগ্রগামী গার্লস হাইস্কুল। প্রতিষ্ঠানটির ২৬০ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৫৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৯ জন।
 
পঞ্চম সিলেট গভ. পাইলট হাইস্কুল। ২৩৭ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৩২ জন। এদর মধ্যে জিপিএ- ৫ পেয়েছে ১০৫ জন।

কুমিল্লা বোর্ড:
কুমিল্লা বোর্ডের শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে কুমিল্লা জেলা স্কুল। প্রতিষ্ঠানটির ৪০১ জন পরীক্ষার্থী শতভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৫৩ জন। দ্বিতীয় হয়েছে নওয়াব ফয়জুন্নেসা সরকারি গার্লস স্কুল। ৩০৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০৫ জন পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭১ জন। তৃতীয়স্থারে রয়েছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৫৯ জন পরীক্ষার্থী সকলেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
 
চতুর্থস্থানে রয়েছে কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৪৯ জন পরীক্ষার্থী সকলেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। কুমিল্লা মর্ডান হাইস্কুল পঞ্চম স্থারে রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ৫৪৮ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
 
ঢাকা বোর্ড:
প্রতিযোগিতাপূর্ণ ঢাকা বোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে রাজধানী ডেমরার শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠানটির ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী পাশ করেছে এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪০ জন।

ঢাকা বোর্ডের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজউক উত্তরা মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। প্রতিষ্ঠান পাস করেছে ৫৪৪ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়ে ৪৯৬ জন।

তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫৮১ জন। পাস করেছে ১৫৭৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪১৬ জন।

চতুর্থ হয়েছে ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এবার প্রতিষ্ঠানটি থেকে পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৫০৩ জন, পাস করে ১৫০১ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৯০ জন।

পঞ্চম হয়েছে টাঙাইলের বিন্দুবাসিনী গভ. বয়েজ হাইস্কুল। এ প্রতিষ্ঠানের ৩৭৩ ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শতভাগ পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩০ জন।

যশোর বোর্ড:
যশোর বোর্ডে ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৪৬ জন শিক্ষার্থীর সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে।

দ্বিতীয় স্থানে আছে পুলিশ লাইন সেকেন্ডারি স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানের ৯০ জন শিক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮১ জন।

তৃতীয় মিলিটারি কলেজিয়েট স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানের ১০৬ জনের সবাই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৪ জন। চতুর্থ স্থানে থাকা খুলনা পাবলিক কলেজ থেকে ১৭২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২০ জন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে গভ. করোনেশন সেকেন্ডারি গার্লস স্কুল। এ প্রতিষ্ঠানের ২৯২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছে ২৮৯ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮০ জন।

দিনাজপুর বোর্ড:
দিনাজপুর বোর্ডে ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথম পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ফলাফল দেওয়া হলো।
 
এর মধ্যে ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রংপুর। এ প্রতিষ্ঠানের ৩৪০ জন শিক্ষার্থীর শতভাগ পাস করে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৩৯ জন।
 
দ্বিতীয় রংপুর ক্যাডেট কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৫৩ জন শিক্ষার্থীর শতভাগই জিপিএ-৫ পেয়েছে। তৃতীয় দি-মিলিনিয়াম স্টার স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই জিপিএ-৫ পেয়েছে। চতুর্থ রংপুর জেলা স্কুল। এই প্রতিষ্ঠানের ২৪৭ শিক্ষার্থীর শতভাগই পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৭ জন। পঞ্চম সৈয়দপুর গভ. টেকনিক্যাল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ১১৮ জনের শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১১ জন।  

রাজশাহী বোর্ড:
এ বছর রাজশাহী বোর্ডের ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এরমধ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বগুড়া ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এ প্রতিষ্ঠানের ৩৪২ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২০ জন।

দ্বিতীয় বগুড়া জেলা স্কুলে ২৪২ জনের শতভাগ পাস। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২১৯ জন।
 
তৃতীয় স্থানে থাকা রাজশাহী ক্যাডেট স্কুল ৫৬ জন শিক্ষার্থীর শতভাগই জিপিএ ৫ পেয়েছে। এছাড়া চতুর্থ স্থানে থাকা রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ২৫৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে। এরমধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২২ জন। পঞ্চম হয়েছে বগুড়া গভ. গার্লস হাইস্কুল। এ প্রতিষ্ঠানের ২৫৮ জন শিক্ষার্থীর শতভাগ পাস করে। এর মধ্যে  জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২১ জন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
ইএস/এসএম/বিএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।