ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

মাদ্রাসার সেরা দশ

শীর্ষে দারুননাজাত, ঝালকাঠি এনএস ও তামিরুল মিল্লাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
শীর্ষে দারুননাজাত, ঝালকাঠি এনএস ও তামিরুল মিল্লাত

ঢাকা: মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মাধ্যমিক সমমানের দাখিল পরীক্ষায় এবার শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা ডেমরার দারুননাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা। গত কয়েকবছর ধরেই মাদ্রাসাটি সেরা দশে অবস্থান করে আসছে।

গত বছর মাদ্রাসাটির অবস্থান ছিল প্রথম। এবারও এটি সফলতার ধারা অব্যাহত রেখেছে।
 
দারুননাজাত থেকে এবার ৩শ’ ৬০ জন দাখিল পরীক্ষায় অংশ নেয়। শতভাগ উত্তীর্ণসহ মাদ্রাসাটি থেকে ৩০৬ জন পেয়েছে জিপিএ-৫।
 
দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ঝালকাঠি এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে ২শ’ ৬৬ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২শ’ ২৭ জন। তৃতীয় ঢাকা যাত্রাবাড়ির তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩শ’ ৩৩ জন। একজন ছাড়া প্রতিষ্ঠানটির সব পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়। এ মাদ্রাসা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২শ’ ৫৭জন।
 
এছাড়া চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে জামিয়া-ই-কাসমিয়া কামিল মাদ্রাসা নরসিংদী, পঞ্চম রংপুর সদরের সাতগরা বাইতুল মুকাররাম কামিল মাদ্রাসা, ষষ্ঠ নরসিংদীর জামিয়া-ই-কাসমিয়া কামিল মাদ্রাসা মহিলা শাখা কামিল মাদ্রাসা, সপ্তম রাজশাহীর আল আরকাজুল ইসলামি আস-সালাফি দাখিল মাদ্রাসা, অষ্টম টঙ্গীর তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা, নবম ডেমরার তামিরুল মিল্লাত কামিল মহিলা মাদ্রাসা ও দশম উত্তরার তানজিমুল উম্মাহ ক্যাডেট মাদ্রাসা।
 
শনিবার (৩০ মে) সকাল ১০টা ১০ মিনিটে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার ফল হস্তান্তর করেন।
 
দেশের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে মাধ্যমিক সমমানের দাখিল পরীক্ষায় এবার পাশের হার ৯০ দশমিক ২০ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ। ২০১৪ সালের তুলনায় এবার পাসের হার দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি।
 
দাখিলের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ বছর মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার সামান্য বাড়লেও কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা। এবার দাখিলে মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৩শ’ ৩৮ জন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ১৩। গতবছরের তুলনায় এ বছর জিপিএ-৫ কমেছে দুই হাজার ৬শ’ ৭৫টি।
 
চলতি বছর দাখিলে সাধারণ, বিজ্ঞান, মুজাব্বিদ ও হিফজুল কোরআন শাখায় মোট অংশ নেয় ‍দুই লাখ ৫৪ হাজার ৬শ’ ২২। এরমধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে দুই লাখ ২৯ হাজার ৬শ’ ৬৬ জন। ফেল করেছে ২৪ হাজার ৯শ’ ৫৬ জন।
 
২০১৪ সালে দাখিলে দুই লাখ ৩৬ হাজার ৬শ’ ৩০ জন অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে দুই লাখ ১১ হাজার ২০৩ জন। ফেল করেছে ২৫ হাজার ৪শ’ ২৭জন। গতবছরের তুলনায় এবার ফেলের সংখ্যা ৪শ’ ৫১ জন কমেছে।
 
দাখিলের সাধারণ বিভাগে এবার মোট পাসের হার ৯০ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর মধ্যে ছেলেদের পাসের হার ৯১ দশমিক ৬৪ ও মেয়েদের ৮৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগে মোট পাসের হার ৯০ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেদের ৯১ দশমিক ৮২ ও মেয়েদের ৮৮ দশমিক ০৭ শতাংশ।
 
মুজাব্বিদ বিভাগে পাসের হার ৮৪ দশমিক ৭৬। এরমধ্যে ছেলেদের ৮৪ দশমিক ১৭ ও মেয়েদের ৮৫ দশমিক ৫৬ শতাংশ। হিফযুল কুরআন বিভাগে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। এরমধ্যে ছেলেদের ৮৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। তবে হিফজুল কোরআন শাখায় এ বছর কোনো ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। মাত্র সাতজন ছাত্র এ শাখায় পরীক্ষায় অংশ নেয় ও ছয়জন কৃতকার্য হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১৫
এডিএ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।