ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কারিগরি প্রতিষ্ঠানকেও নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নির্দেশনা

নূরনবী সিদ্দিক সুইন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
কারিগরি প্রতিষ্ঠানকেও নজরুল জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নির্দেশনা

ঢাকা: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমুহকেও যথাযথভাবে পালনের নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। যা এরইমধ্যে সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমুহের অধ্যক্ষদেরসহ বোর্ডের অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।



সম্প্রতি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক(কারিকুলাম) মো. আব্দুর রেজ্জাকের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠিতে নজরুল জন্মবার্ষিকী আবশ্যিকভাবে পালনের কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের একাডেমি নিয়ন্ত্রণে পরিচালিক সকল প্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আবশ্যিকভাবে নজরুল জন্মবার্ষিকী পালন করতে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বোর্ডের নির্দেশনার পাওয়ার কথা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন সাইক ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজির পরিচালক ও প্রাইভেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিপিওএ) সদস্য সচিব সোহেলী ইয়াছমিন।

যেকোনো জাতীয় দিবসই প্রাইভেট পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটসমুহ নির্দেশনা মোতাবেক গুরুত্বের সঙ্গে পালন করে। কাজী নজরুলের জন্মবার্ষিকীতে তার ব্যতয় হবে না বলেও জানান তিনি।

এর আগে বিষয়টিতে সরকারের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে চিঠি দেওয়া হয়।
২৫ মে(১১ জ্যেষ্ঠ) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৬তম জন্মবার্ষিকী। বরাবরের মতো এ বছরও জাতীয়ভাবে উদযাপিত হবে দিনটি।

নজরুল জন্মবার্ষিকীতে সরকারি উদ্যোগে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ, বই প্রদর্শনী, কবির স্মৃতিবিজড়িত স্থানসমূহে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন, আলোচনাসভা, শিল্পকর্ম প্রদর্শনী, পাঠ ও রচনা প্রতিযোগিতা, টেলিভিশন-রেডিওতে সম্প্রচারসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নানা আয়োজনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর ডাক নাম 'দুখু মিয়া'৷ পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন৷

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা৷ তার কবিতা ও গান সকল শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে৷ মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উত্‍স৷

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৫
এনএস /

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।