ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বরাদ্দ পাওয়া স্থানে জাবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
বরাদ্দ পাওয়া স্থানে জাবির পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ভূতাত্বিক বিজ্ঞান বিভাগ, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ ভবনে সিন্ডিকেটের বরাদ্দ করা কক্ষে ক্লাস শুরু করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ।

টানা ৩৭ দিন পর  বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকালে বিভাগের শিক্ষকরা ক্লাস নেন।



দুপুরে বিভাগে আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এ এইচ এম সা’দৎ বলেন, গত ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অনুকূলে দেওয়া ভবনের তৃতীয় তলায় আমরা আমাদের বিভাগ শিফট করেছি। স্থান বরাদ্দের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে থাকায় স্বাভাবিকভাবে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।  

শিক্ষকরা বলেন, সকালের দিকে ভবনে ওঠার এক পর্যায়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভূতাত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাঁধা দিলে পরে শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিত স্বাভাবিক হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দীন, মোহাম্মদ আমির হোসেন ভূঁইয়া, এ কে এম রাশিদুল আলম প্রমুখ।

এদিকে ভবনের তৃতীয় তলা নিজ নিজ বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে বিভাগের সামনে ও প্রশাসনিক ভবনে অবস্থান নিয়েছে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ভূতাত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

গত ৫ এপ্রিল পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভবনের নবনির্মিত তৃতীয় তলার প্রায় ২৮ হাজার বর্গফুট জায়গা তাদের বরাদ্দ দেয়। এতে আপত্তি জানিয়ে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগকে ভবনে উঠতে বাধা দেয় কম্পিউটার সায়েন্স ও ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

পরে গত ৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের জন্য মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সিন্ডিকেট। এই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অনুকূলে প্রায় ২৮ হাজার বর্গফুট স্থান বরাদ্দ দেয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ১৫ জন ও ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন শিক্ষক পদত্যাগপত্র জমা দেন। পাশাপাশি ভবনের তৃতীয় তলা নিজ নিজ বিভাগকে বরাদ্দ দেওয়ার দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন ওই দু’টি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

তিনটি বিভাগের চলমান এই অচলাবস্থা নিরসনে শিক্ষক সমিতি প্রাণ রসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এস এম বদিয়ার রহমানকে আহ্বায়ক ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তারকে সদস সচিব করে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি কাজ করতে থাকে ডিন কমিটি।

বুধবার শিক্ষক সমিতি ও ডিন কমিটির হস্তক্ষেপের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন শিক্ষকরা, শিক্ষার্থীরা অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৮ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১৫
এএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।