ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১

জাহিদুর রহমান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাভার: টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

সন্ধ্যার সাড়ে ছয়টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবু সাদাত খালেদ মোশারফ(২৪)।



এছাড়া সংঘর্ষে গুরুতর আহত বাঁধন ও ফয়সাল নামের অপর দুই শিক্ষার্থীর অবস্থা আশংকাজনক। উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাদের ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

বুধবার বিকেল ৩টার দিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আবু সাদাত খালেদ মোশারফ অপরাধ তত্ব ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।

তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম। বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মুজাট্টি গ্রামে।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কমিটি না থাকলেও নিজেকে ছাত্রলীগ  বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সভাপতি বলে পরিচয় দিতেন মোশারফ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিদ্বন্দ্বী মনির গ্রুপের সঙ্গে দ্বন্দ্ব ছিলো মোশারফের।

দুপুরে নিজের অনুসারীদের নিয়ে মোশারফ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে মনির গ্রুপের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় মনির গ্রুপের ক্যাডাররা মোশারফ ও তার সহযোগী ফয়সাল ও বাঁধনকে এলোপাতাড়ি কোপায়।

গুরুতর আহত অবস্থায় তিন শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা নেবার পথে অবস্থার অবনতি হলে সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয় মোশারফকে। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.গৌতম ঘোষ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। আহত দুই শিক্ষার্থীকে স্থানান্তর করা হয় রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।

ঘটনার পর থেকে পুরো ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ফের সংঘর্ষের আশঙ্কায় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মোশারফের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খালেমুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদারে  অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। করণীয় নির্ধারণে উপাচার্যের সভাপতিত্বে জরুরি বৈঠক করছেন তারা।

নিহত মোশারফের সহপাঠী রূপন কর্মকার বাংলানিউজকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে আনুষ্ঠানিক রাজনীতি না থাকলেও ছাত্রলীগের ব্যানারে কর্মীরা তৎপর রয়েছেন।

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক বাংলানিউজকে জানান,তিনজন পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিহত শিক্ষার্থীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তার মাথায়,পায়ে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের গুরুতর চিহ্ন রয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট থানাকে নিহত হবার বিষয়টি অবহিত করেছি। বিধি মোতাবেক লাশ ময়না তদন্তের জন্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৫/আপডেট ১৯৪৬ ঘণ্টা
জেডআর/এসআর/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।