ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রশ্ন বুঝে উত্তর দেওয়ার পরামর্শ ক্যামব্রিয়ান অধ্যক্ষের

মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যক্ষ- ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫
প্রশ্ন বুঝে উত্তর দেওয়ার পরামর্শ ক্যামব্রিয়ান অধ্যক্ষের

প্রিয় শিক্ষার্থীরা, কেমন আছ তোমরা? নিশ্চয়ই ভালো। আর কিছু দিন পরেই শুরু হচ্ছে তোমাদের কাঙ্খিত এসএসসি পরীক্ষা।

অবশ্যই এখন চলছে তোমাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পর্বটা। অনেকেরই এখনো কিছু বিষয় বা প্রশ্নে সমস্যা থাকতে পারে। আর এই সমস্যার সমাধান নিয়ে সকলেই এখন ব্যস্ত।

কিন্তু আমি বলব প্রত্যেকের কিছু না কিছু বিষয়ে সমস্যা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই এটা নিয়ে বেশি চিন্তা না করে, আগে যা পড়া হয়েছে সেগুলোর দিকে নজর দাও।
ভালো ফলাফল করতে হলে, অবশ্যই পরীক্ষার খাতায় সুন্দরভাবে  নিজেকে উপস্থাপন করতে হবে। সেজন্য অবশ্যই তোমাদের প্রশ্ন বুঝে উত্তর দিতে হবে। ভুল উত্তর দেওয়া ও অপ্রাসঙ্গিক উত্তর লেখা হতে বিরত থাকতে হবে।

তোমরা অনেকেই মনে করো, যতো বেশি লেখা যাবে ততবেশি নাম্বার পাওয়া যাবে আসলে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। তাই এ বিষয়ে সচেতন থাকবে। মনে রাখবে, গঠনমূলক লেখা ছোট হলেও সম্পূর্ণ নাম্বার পাওয়া যায়। এজন্য তোমাদের প্রশ্নের বিষয়বস্তুর উপর নির্ভর করে উত্তর দিতে হবে। সেটা ছোট বা বড় যাই হোক না কেন?

এস.এস.সি পরীক্ষা তোমাদের জীবনের একটি মূল্যবান পরীক্ষা। ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষার জন্য যে ফলাফলের গুরুত্ব অপরিসীম। যেহেতু এখন পরীক্ষা সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে। তাই মূল বইয়ের গুরুত্ব অসীম। কেননা প্রতিটি প্রশ্ন বইয়ের মধ্য হতেই হয়ে থাকে। প্রশ্ন প্রণয়ন সৃজনশীল পদ্ধতির আঙ্গিনায় হোক আর যেভাবেই হোক। তাই ভালো ফলাফলের জন্য মূল বইয়ের বিকল্প নেই।

পূর্ণ সফলতার জন্য তোমাদের বহুনির্বাচনিতে অবশ্যই ভালো করতে হবে। কেননা নৈর্ব্যক্তিকে Full Marks পাওয়া অতি সহজ যদি তোমার উত্তর সঠিক হয়। এবার তোমরা বাংলা দ্বিতীয় পত্রে প্রথম সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিচ্ছো তাই হয়তো অনেকেই ভয় পাচ্ছো। এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।

আবার অনেকেই গণিতে দূর্বল; গণিত বিষয়টি এখন সৃজনশীল পদ্ধতির আলোকেই পরীক্ষা হবে। এখানেও ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। শ্রেণি কক্ষের পাঠদানকে প্রাধান্য দিয়ে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুশীলন করে যদি পরীক্ষার খাতায় নিজেকে উপস্থাপন করতে পার তবেই সফলতা পাওয়া কোনো ব্যাপারই নয়।

আরও উল্লেখ্য, বাকি যে সময়টুকু এখনো তোমাদের হাতে রয়েছে সে সময়টাতে তোমরা নিজেদেরকে ঝাঁলিয়ে নাও। তোমাদের মেধাকে বিকশিত কর। আগে তুমি যা শিখেছো তাই ভালো করে পড়। এতেই ভাল করতে পারবে। Time and tide wait for none সময়ের কাজ সময়েই করে নাও।

The more you read the more you learn। এ দৃষ্টান্তটুকুই ফলাফলকে তোমার দিকে তেড়ে নিয়ে আসবে। তাই যা পড়বে সেটি বুঝে এবং মনোযোগ সহকারে পড়বে। ফলশ্রুতিতে সফলতা অবশ্যই ধরা দিবে। মনে রাখবে, কোনোভাবেই সফলতার কাঙ্খিত ফলাফল হতে ব্যর্থ হওয়া যাবে না। আত্মবিশ্বাস রেখো, ইনশাল্লাহ্ সাফল্য অবশ্যই ধরা দেবেই।

লেখক: মো. গোলাম মোস্তফা, অধ্যক্ষ- ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।