ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

প্রাথমিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার আবেদন যোগ্যতায় বাংলাদেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫
প্রাথমিকে ১০০ মিলিয়ন ডলার আবেদন যোগ্যতায় বাংলাদেশ

ঢাকা: প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের জন্য আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ।

শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করা সংস্থা গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফর এডুকেশন (জিপিই) সদস্যপদ পাওয়ায় এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।



বুধবার গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিকে সামনে রেখে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাকে দক্ষ, ইনক্লুসিভ ও সমতাভিত্তিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য গত ১৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ ৬০তম দেশ হিসেবে জিপিই’র সদস্যপদ অর্জন করে।

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বৈদেশিক সংস্থাগুলোর মধ্যে জিপিই একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান। এর সদস্যপদ প্রাপ্তির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশে কর্মরত উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা (স্টেক হোল্ডার) ও সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলোর প্লাটফর্ম এডুকেশন লোকাল কনসালটেটিভ গ্রুপ (ইএলসিজি) মখ্য ভূমিকা পালন করে।

সাক্ষরতা নিয়ে যে সব সংস্থা কাজ করে তাদের জোট গণসাক্ষরতা অভিযান সরকার কর্তৃক অনুসৃত পরিকল্পনা ও নীতির মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে, যা সরকার ও ইএলসিজি কর্তৃক অনুসমর্থন করা হয়।

জিপিই’র সদস্যপদ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মরত সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার অনুসমর্থন বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশের হয়ে জিপিই’র সদস্যপদের জন্য ইএলসিজি’র বর্তমান কো-চেয়ারম্যান ব্রিটিশ সাহায্য সংস্থা ডিএফআইডি আবেদন করে।

অন্যদিকে, গণসাক্ষরতা অভিযানের মূল্যায়ন প্রতিবেদনটি বিশ্বব্যাংক পর্যালোচনা করে তা জিপিইতে দাখিল করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে অবস্থিত এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকাসহ পৃথিবীর ৫৯টি দেশ প্রতিষ্ঠানটির সদস্য।

সদস্যপদ প্রাপ্তিতে বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়ে জিপিই’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এলিট ওলব্রাইট বলেন, প্রান্তিক শিশুসহ বাংলাদেশের সব শিশুরা যাতে গুণগতমানের মৌলিক শিক্ষা পায়, সে লক্ষ্যে সরকার ও তার উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করে যাওয়ার জন্য আমরা আমাদের অঙ্গীকারকে সুনিশ্চিত করছি।

তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিটি (পিইডিপি-৩) ২০১১-২০১৭ মেয়াদের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাস্তবায়িত হচ্ছে। কর্মসূচিটি প্রাথমিক শিক্ষাখাতের গুণগতমান উন্নয়নের জন্য একটি ভিন্ন মাত্রার কর্মসূচি।

কর্মসূচিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, শিক্ষাক্ষেত্রে কর্মরত সংগঠন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইএলসিজি নৈতিক, প্রাতিষ্ঠানিক এবং এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, অষ্ট্রেলিয়ান ডিপার্টমেন্ট ফর ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড, কানাডিয়ান ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স, ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, জাপান, সুইডিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি, ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, ইউনিসেফ এবং বিশ্বব্যাংক আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে।

এক প্রতিক্রিয়ায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জিপিই বাংলাদেশের শিশুদের জন্য গুণগতমানের প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করার যে অঙ্গীকার করেছে, তা এই শিক্ষাখাতে অর্থপূর্ণ সংস্কার আনবে।
 
জিপিই বাংলাদেশের সদস্যপদ প্রাপ্তি শিক্ষা ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক অনুসৃত নীতি ও পরিকল্পনার প্রতি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সিভিল সোসাইটি সংস্থাগুলোর পূর্ণাঙ্গ সমর্থন ও তাদের সুসমন্বয়ের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

http://www.globalpartnership.org ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত আরো তথ্য পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।