ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কোটা আন্দোলনের ভিডিও করায় শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটুনি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪
কোটা আন্দোলনের ভিডিও করায় শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে বেধড়ক পিটুনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী মো. তামিম হোসেন

কুমিল্লা: কুমিল্লায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ভিডিও করায় এক শিক্ষার্থীকে তুলে হলে নিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটেছে।  

শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলে মারধরের ঘটনা ঘটে।

 

এ ঘটনায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার নজরুল হলের শফিউল্লাহ, হাবিব গাজীসহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা ছাত্রলীগ করেন ও সংগঠনটির বিভিন্ন পদপ্রত্যাশী বলে জানা গেছে।  

আহত ওই শিক্ষার্থী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তামিম হোসেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

জানা গেছে, শুক্রবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে যোগ দেয় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থীরা। কুমিল্লার ধর্মপুর এলাকায় কলেজ ক্যাম্পাসে তারা বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। এসময় সংবাদ সংগ্রহে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা। তাদের সঙ্গে যুক্ত হন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সদস্য মো. তামিম হোসেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দিতে আসে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার নজরুল হলের ছাত্রলীগ কর্মীরা। তামিমকে ভিডিও করতে দেখে প্রথমে তার মোবাইলফোন নিয়ে যায় হলের কয়েকজন। পরে তাকে মোবাইলফোন দেবে দেবে বলে হলের দিকে নিয়ে যায় তারা। হলের একটি কক্ষে নিয়ে যায় কয়েকজন। এরপরে তার ওপর শুরু হয় অমানবিক নির্যাতন। এসময় তার মাথা, হাত, পা ও চোখসহ বিভিন্ন অংশে আঘাত করা হয়। হামলায় অংশ নেয় হল ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী শফিউল্লাহ, হাবিব গাজীসহ আরও বেশ কয়েকজন। নির্যাতনের দুই ঘণ্টা পর খবরটি জানতে পারে কান্দিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। এসময় তারা তামিমকে হল থেকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসের। পরে সাধারণ ছাত্রদের তত্ত্বাবধানে তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়।  

আহত তামিম বলেন, আমার থেকে তারা মোবাইল নিয়ে যায়। পরে আমাকে নির্যাতন করে। তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকি দেয়। তাদের মারধরে আমার পুরো শরীর অবশ হয়ে গেছে।  

এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন  বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কলেজের নজরুল হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী তাকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে তাকে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২৪ 
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।