ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির শিক্ষার্থীদের ভবনে কর্মকর্তাদের বাস, বিক্ষোভ-কক্ষে তালা 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
ঢাবির শিক্ষার্থীদের ভবনে কর্মকর্তাদের বাস, বিক্ষোভ-কক্ষে তালা 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলের মূল ভবনের একাংশে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জেরে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।  

রোববার (১৯ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ভবনের মাঝখানে জড়ো হয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরিয়ে নিতে নানা স্লোগান দেন তারা।

বিক্ষোভে অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন।  

এসময় শিক্ষার্থীদের ‘কর্মচারীদের স্থানান্তর কর, আমাদের বাঁচাও’, ‘ছাত্রদের বৈধ সিট ফিরিয়ে দাও’, ‘আমার হলের সিট কোথায়?, প্রশাসন জবাব চাই’,-সহ নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

পরে হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মো. শাহীন হোসেন খানের সাথে দেখা করেন নিজেদের দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।  

কবি জসীম উদ্দীন হলের দক্ষিণ ভবনের অর্ধেক অংশে হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকেন। নিচতলায় দুটি কক্ষ এবং ৪র্থ ও ৫ম তলার অর্ধেক অংশে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা থাকেন।  

হলসূত্রে জানা যায়, হলটি তৈরির সময় আবাসিক শিক্ষকদের কোনো কোয়ার্টার ছিল না। ফলে দক্ষিণের ভবনের একাংশকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংযোগহীন করে তৈরি করা হয়েছে। একই ভবনে চলাচলের জন্য রাখা হয়েছে আলাদা সিঁড়ি। পরে শিক্ষকদের জন্য আলাদা কোয়ার্টার তৈরি করা হলেও এই অংশটি শিক্ষার্থীদের না দিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেওয়া হয়।  

একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, সিট সংকটের কারণে অনেক তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ৮ জনের কক্ষে ফ্লোরিং করে ১২ জনের বেশিও থাকছেন। এই অংশে তারা অন্তত একশ অধিক সিট দখল করে আছেন।

হলের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, তৃতীয় বর্ষেও সিট পাইনি। ওরা ১০টি কক্ষ দখল করে আছে। সেই কক্ষগুলো পেলে আমাদের যে সিট সংকট, তা কেটে যেত। তাই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।  

আরেক শিক্ষার্থী মাসুদ হোসেন বলেন, আমরা এক রুমে ১২ জন ফ্লোরিং করে থাকি। ওরা যে অংশটি দখল করে আছে, তা শিক্ষার্থীরা পেলে অনেকেই শান্তিতে থাকতে পারবে। আমরা প্রভোস্ট স্যার বরারব দাবি জানিয়েছি।  

এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট ড. মো. শাহীন খান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমাকে আগেই বিষয়টি জানিয়েছে। এরপর থেকেই আমরা কীভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। শিক্ষার্থীরা আজও আমার কাছে এসেছেন। তবে হল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ওই অংশটি শিক্ষক-কর্মকর্তারা ব্যবহার করছেন, হুট করেই বিষয়টা নিষ্পত্তি করা কঠিন।  

তিনি আরও বলেন, আমি গিয়ে জায়গাটি পর্যবেক্ষণ করেছি। কিভাবে এটা শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী করা যায়, তা দেখে এসেছি। বিষয়টি নিয়ে আজ আবাসিক শিক্ষক এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে সভা ডেকেছি। আশা করি আমরা শিগগিরই এটি সমাধান করতে পারব।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।