ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

হলের সিট না ছেড়ে উল্টো গেটে তালা দিলেন সেই ছাত্রলীগ নেত্রী!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
হলের সিট না ছেড়ে উল্টো গেটে তালা দিলেন সেই ছাত্রলীগ নেত্রী! রাবি ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্না আক্তার তন্নি

রাজশাহী: বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্না আক্তার তন্নির। এবার তার বিরুদ্ধে হলের গেটে তালা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

 

অবৈধভাবে নিজের দখলে রাখা সিট ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ায় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রহমতুন্নেসা হলের গেটে তালা মেরে দেন এই ছাত্রলীগ নেত্রী।  

পরে ছাত্রীরা আটকা পড়লে খবর পেয়ে সন্ধ্যায় প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ঘটনাস্থলে যান। এ সময় গেটের তালা খুলে দেওয়া হয়।

তামান্না আক্তার তন্নি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং হল ছাত্রলীগ সভাপতি।  

ঘটনার ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তামান্না আক্তার তন্নির একাডেমিক পড়ালেখা শেষ। তারপরেও সে হলের সিটটি ধরে রেখেছে। এমনকি কক্ষের আলাদা একটি সিটেও সে কাউকে উঠতে দেয় না। অথচ অনেক গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে সিট পাচ্ছে না। তাকে এই বিষয়টি একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু সে বিষয়টি আমলেই নিচ্ছে না। রাজনৈতিক পদের বলে এখনও সে ওই হলেই থাকতে চায়। ওই ছাত্রী হলে থেকে এমফিল করতে চায়। কিন্তু এমফিল শিক্ষার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে কোনো সিট বরাদ্দ নেই।  

রাবি রহমতুন্নেসা হলের ৪৫৯ নং কক্ষে থাকেন তামান্না। গেল ছয় মাস আগেই তার একাডেমিক পড়াশোনা শেষ হয়েছে। তাই তার সিটটি অন্য এক ছাত্রীকে বরাদ্দ দিয়েছে হল প্রশাসন। তবে এখনও তিনি তার সিট ছাড়তে রাজি নন।

এ নিয়ে একাধিকবার তাকে নোটিশ করেছে রতমতুন্নেসা হল প্রশাসন। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে এই ছাত্রীকে হলের সিট ছাড়ার নির্দেশ দেন প্রাধ্যক্ষ। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে উল্টো ছাত্রলীগ নেত্রীদের নিয়ে রহমতুন্নেসা হলের গেটে তালা দেন তামান্না আক্তার তন্নি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হল ছাত্রলীগ সভাপতি তামান্না তন্নি জানান, তিনি রাবি ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন। বিভিন্ন প্রয়োজনে ছাত্রীরা তার কক্ষে যান। তাই প্রাধ্যক্ষই একটি সিট ফাঁকা রাখতে বলেছিলেন। এখন তিনি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে এসব কর্মকাণ্ড করছেন। যদিও তিনি হলে থেকেই এমফিল করতে চান।  

হলে না থাকলে কর্মীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন বলেও এ সময় তিনি প্রশ্ন রাখেন। তাই সংগঠনের গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে সিটে থাকার জন্য একাধিকবার হল প্রাধ্যক্ষের আবেদন করেছেন বলেও জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৩
এসএস/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।