ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

খাবারের দাম বাড়ানোয় ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
খাবারের দাম বাড়ানোয় ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

রাজশাহী: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শহীদ জিয়াউর রহমান হলে খাবারের দাম বাড়ানো নিয়ে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা।  এই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ক্যান্টিনে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

তালা দেওয়ার পর তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।  

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হলটির ভেতরে আন্দোলন করেন বিক্ষুব্ধরা। পরে হলের মেইন গেইটে এসে তারা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মতে, এর আগেও কয়েক দফা হল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে ক্যান্টিন মালিককে খাবারের দাম কমানোর দাবি জানান হলের শিক্ষার্থীরা। তবে শিক্ষার্থীদের কথায় কর্ণপাত না করে খাবারের দাম বেশি নিয়েই ক্যান্টিন চালাচ্ছিলেন ক্যান্টিন মালিক। তবে দাম বেশি নিলেও খাবারের মান যথেষ্ট খারাপ বলে জানান শিক্ষার্থীরা। খাবারের মান ভালো করা কথা জানালে ক্যান্টিন মালিক খাবারের মান বাড়ানোর ওপর কোনো নজর দেয়নি। এর কারণে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলে শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ১০টার দিকে হলের টিভি রুমে খাবারের দাম বাড়ার ঘটনায় নিজেরাই আলোচনায় বসেন। পরে খাবারের দাম না কমানো পর্যন্ত তারা ক্যান্টিনে তালা মেরে আন্দোলন করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ক্যান্টিন মালিক জিয়াউর রহমান হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মীকে বিনা টাকায় খাওয়ান। তাদের মদদেই তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাবারের দাম বেশি রাখেন বলে হলের একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ।
 
এ বিষয়ে কারণে জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বাপ্পি বলেন, তারা কয়েকবার ক্যান্টিনের খাবারের দাম কমানোর কথা মালিককে অবহিত করেছেন। কিন্তু তিনি তা আমলে নেননি। তিনি খাবারের দামও বেশি নেন আবার মানও খুব খারাপ। এর কারণে তারা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দাম না কমানো পর্যন্ত আন্দোলন করবেন।

রাবি জিয়াউর রহমান হলের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, তারা ক্যান্টিন মালিককে একাধিকবার বুঝিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাদের কোনো কথাই শোনেননি। তারা এটাও বলেছেন যে, অন্য ক্যান্টিন নির্দিষ্ট দাম নিতে পারলে আপনি পারবে না কেন? কিন্তু তাদের কাছ থেকে দাম বেশি করেই রাখা হচ্ছে। তাই তারা প্রদিবাদ করছেন।

জানতে চাইলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. সুজন সেন বলেন, তিনি কিছুক্ষণ আগেই বিষয়টি শুনেছেন।  

তিনি রাজশাহী মেডিকেলে ছিলেন। এখান থেকে ক্যাম্পাসে ফিরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি শুনবেন। এরপর বিষয়টি দ্রুতই সমাধান করবেন বলে জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।